ফাইবারে ভরপুর: পেঁয়াজ ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। ১ কাপ পেঁয়াজে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখতেই হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ কথাও বলেন, পেঁয়াজের দ্রবনীয় সান্দ্র ফাইবার তৃপ্তি দেয়। অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - Skin Care Tips: মুখ হবে চাঁদের মতো উজ্জ্বল, থাকবে না একটা দাগও!
advertisement
কম ক্যালোরি: পেঁয়াজে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ কাটা পেঁয়াজে থাকে মাত্র ৬৪ ক্যালোরি পাওয়া যায়। তাই ওজন কমানোর যাত্রাপথে পেঁয়াজ নিরাপদ খাদ্য।
কুয়ারসেটিন সমৃদ্ধ: পেঁয়াজে কুয়ারসেটিন নামের উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে। এটা একটা ফ্ল্যাভোনয়েড যার অ্যান্টি ওবেসিটি বৈশিষ্টি রয়েছে। তাই পেঁয়াজ শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর বলে বিবচেচিত হয়।
পেঁয়াজের সহজ রেসিপি: খাবারের স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজের জুড়ি নেই। কিন্তু ওজন কমানোর রেসিপিতেও এটা প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেমন পেঁয়াজের রস খালি পেটে খেলে দুর্দান্ত কাজ করে। দেখে নেওয়া যাক সহজ রেসিপি।
পেঁয়াজের জুস: ১ কাপ জলে খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজ ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর সেটা ঠান্ডা করে পিষে নিতে হবে গ্রাইন্ডারে। এবার সকালে খালি পেটে এক কাপ জলের সঙ্গে সেটা মিশিয়ে খেতে হবে।
পেঁয়াজের স্যুপ: একটা প্যানে ১ চা চামচ তেল এবং ২টি রসুন কুঁচি ভালো করে ভেজে নিতে হবে। এবার তাতে হাফ কাপ পছন্দের সবজির সঙ্গে ২ টি কাটা পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে হবে ২ থেকে ৫ মিনিট। তারপর দিতে হবে নুন এবং মরিচ। ব্যস, ঘরে তৈরি পেঁয়াজের স্যুপ প্রস্তুত। পরিবেশন করতে হবে গরম গরম।
পেঁয়াজ এবং ভিনিগার: এটা স্যালাড হিসেবে দুর্দান্ত। খেতে দারুণ তো লাগেই ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রথমে খোসা ছাড়ানো একটা পেঁয়াজ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তারপর সেগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে ভিনিগারে। এবার ভাত এবং ডালের সঙ্গে এটা পরিবেশন করতে হবে স্যালাড হিসেবে। রাতে রুটির সঙ্গেও খাওয়া যায়।