এই ডায়েটের খাদ্য তালিকায় কী কী থাকে?
শরীরকে ডিটক্স (Detox) করার এই ডায়েটে শুধুমাত্র ফলের জুস থাকে। বিভিন্ন রকম ফল যেমন কমলালেবু, কলা বা বেদানা ব্যবহার করে এই জুস তৈরি করা হয়। শরীরের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে ফলের রসের সঙ্গে অল্প পরিমান চিনি বা লবণ মেশানো হয়। এছাড়া, ফল এবং সবজি মিশিয়েও এই ডায়েটের জন্য জুস বানানো যায়। এক্ষেত্রে ফলের সঙ্গে শশা বা গাজর ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, জুস ডায়েটের দরুণ প্রতিনিয়ত ফল এবং তাজা সবজি আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে যা স্বাস্থ্যের খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন C, ভিটামিন E এবং খনিজ থাকে যারা সাহায্যে মানবদেহ খুব সহজেই প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি পায়।
আরও পড়ুন - চুল পেকে যাচ্ছে বা খুব শুষ্ক? এই একটি জিনিসেই মিটবে একাধিক সমস্যা
কিন্তু, প্রত্যেক কয়েনের যেমন দু'টি দিক থাকে এই ক্ষেত্রেও একদিকে ‘কিন্তু’ দাঁড়িয়ে রয়েছে। জুস ডায়েটের ফলে আমাদের শরীর অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।
ফ্রুট জুসে শরীরের জন্য উপকারি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ভিটামিন B12 একদমই থাকে না। প্রতিনিয়ত ফলের রস খাওয়ার ফলে দেহে শক্তি প্রদানকারী কার্বোহাইড্রেটের অভাব দেখা দিতে শুরু করে।
আরও পড়ুন - মেক আপ কিট পরিষ্কার রাখছেন তো? ত্বক সতেজ রাখতে অবশ্যই এই বিষয়গুলিতে নজর দিন
ফল এবং শাক সবজির জুস তৈরি করা সময় সমস্ত ফাইবার বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। যে কোনও ডায়েটের ক্ষেত্রে ফাইবার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ এটি আমাদের পাচনতন্ত্রকে সচল রাখে এবং বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফ্রুট জুসের ক্ষেত্রে এই উপদানকেই বাইরে ফেলে দেওয়া হয়, এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফলের রসের থেকে গোটা ফল খাওয়া অনেক বেশি উপকারি।
ফ্রুট জুস ডায়েটের ফলে কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে?
শুধুমাত্র ফলের জুস খাওয়ার ফলে শরীর অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে বঞ্চিত হয় যার ফলে প্রথমত দুর্বলতা আসে। এর পর ক্লান্তি আসে, মাথাব্যথা শুরু হয় এবং পেশি ও হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া, এর প্রভাবে কিডনির স্থায়ী সমস্যাও দেখা দিতে পারে।