এসব ছাড়াও আরও একটা উপকার পাওয়া যায়। সেটা হল নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন কমে। তবে এজন্য সঠিক ওয়ার্কআউট রুটিন বেছে নেওয়াটা জরুরি। পেটের চর্বি ঝরাতে এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে রাতে শোওয়ার আগে কয়েকটি ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
স্কোয়াটস: দু’পা কিছুটা ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। হাত থাকবে কাঁধ বরাবর সোজা। এবার কোমর সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ করে বসতে হবে। একই সময় কনুই ভাঁজ করে হাত আনতে হবে বুকের সামনে। এবার এখান থেকে ফিরে যেতে হবে আগের জায়গায়। একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫টা স্কোয়াট করা যায়।
advertisement
প্ল্যাঙ্কস: প্রথমে পুশ আপের ভঙ্গিমায় যেতে হবে। তবে হাত নয়, শরীরের ভর থাকবে কনুই এবং হাতের উপর। এবার দু’পা জুড়ে মাথা থেকে গোটা শরীরকে টানটান রাখতে হবে। এভাবে যতক্ষণ সম্ভব এই অবস্থানে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : ঘাড়ে গলায় ছোট ছোট মাংসপিণ্ড গজাচ্ছে? সাবধান! এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা!
কার্টসি লাঞ্জ: দু পা ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। এবার ডান পাকে পিছনের দিকে কোনাকুনি টানতে হবে। যাতে একটা ক্রস তৈরি হয়। এবার বসতে হবে। এতে সামনের পা কিছুটা বাঁকা অবস্থায় থাকবে। পিছনের পায়ের হাঁটু ঠেকে থাকবে মাটিতে। এবার অন্য পাকেও একইভাবে কোনাকুনি টেনে বসতে হবে। এই সময় হাত রাখতে হবে কোমরে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে আপনার সাদা পোশাক? ধবধবে ভাব ধরে রাখুন এই উপায়ে
হাঁটু পুশ আপ: প্রথমে পুশ আপের ভঙ্গিমায় আসতে হবে। তবে পা সোজা নয়, দুটো হাঁটু মাটিতে ঠেকে থাকবে। পায়ের বাকি অংশ থাকবে শূন্যে। এবার দুহাত ফাঁক করে যেভাবে পুশ আপ দেওয়া হয় সেভাবে বুককে মেঝের কাছে এনে আবার উপরে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় দু’ চাকার গাড়ি চালান? দুর্ঘটনা এড়িয়ে নিরাপদ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
গ্লুট ব্রিজ: চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। দুপা নিয়ে আসতে হবে কোমরের কাছে। হাত শরীরের সঙ্গে লেগে থাকবে। এবার পায়ের উপর ভর দিয়ে কোমর এবং নিতম্বকে তুলতে হবে উপরের দিকে, যতক্ষণ না হাঁটু, নিতম্ব এবং কাঁধ একটি সরলরেখা তৈরি করে। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে ধীরে ধীরে কোমর নামিয়ে নিতে হবে।
শেষে অল্প কয়েকটি স্ট্রেচিং: কয়েকটা স্ট্রেচিং দিয়ে শেষ করতে হবে ওয়ার্কআউট। এটা পেশিগুলিকে শিথিল এবং শরীরকে শীতল করতে সাহায্য করে। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া বা হাঁটাহাটিও করা যায়।