TRENDING:

Weekend Trip Destination: ক্ষুধিত পাষাণের হাতছানি! রহস্যে ঘেরা ইতিহাসে ডুব দিতে ছোট্ট ছুটিতে বেড়াতে আসুন কুরুমবেড়া দুর্গে

Last Updated:

Weekend Trip Destination: চারিদিকে পরিখা ঘেরা ল্যাটেরাইট পাথরের নির্মিত ইতিহাস ক্ষেত্র, নেপথ্যে রয়েছে নানা ইতিহাসের সাক্ষ্য, জানুন কুড়ুমবেড়া দুর্গের ইতিহাস।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলার অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। প্রতিটি ইতিহাসের নিদর্শনের নেপথ্যে রয়েছে সুদীর্ঘ পথ। স্থাপত্যের এক একটি প্রাচীন পাথর ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। প্রান্তিক এক গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ল্যাটেরাইট পাথরের নির্মিত এক ইতিহাস ক্ষেত্র। বিভিন্ন ইতিহাসবিদের গবেষণায় একাধিক তথ্য উঠে এলেও সঠিক ইতিহাস এখনও জানা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক কেশিয়াড়ি ব্লকের গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক কুরুমবেড়া দুর্গ। যদিও নানা মতের পার্থক্য থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন সেটি সেনা ছাউনি, আবার মনে করা হয় তা ঈশ্বরের স্থান।
advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক এক স্থাপত্যের নিদর্শন। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরেই রয়েছে এই প্রাচীন নিদর্শন। সাধারণ মানুষ এই নিদর্শনকে দুর্গ বলেই চিহ্নিত করেন। তবে গবেষকদের মধ্যে, আসলে এই স্থাপত্য কেন গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে নানার মত থাকলেও বর্তমানে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে প্রাচীন এই দুর্গ কুরুমবেড়া। বিশাল দুর্গের বেশ কিছুটা অংশ এখনও রয়ে গিয়েছে। ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি একটি স্থাপত্য। পাথর কেটে কেটে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গের দেওয়াল।

advertisement

আরও পড়ুন : পালং-পুঁই নয় কিন্তু! এগুলিই ভূত চতুর্দশীর ১৪ শাক! কোনটা খেলে পালাবে ব্লাড সুগার, কোষ্ঠকাঠিন্য? জানুন

স্থানীয় ইতিহাস গবেষক কমলাকান্ত আচার্য্য বলেন, ‘‘চারিদিকে ঘেরা সুসজ্জিত দেওয়াল বা প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে তিনটি গম্বুজ আকারের স্থাপত্য। কেউ কেউ মনে করেন এটি একটি মন্দির বা দেবালয় ছিল। যার চারিদিকে প্রাচীরবেষ্টিত একাধিক কুঠুরি ছিল। যেখানে তীর্থযাত্রীরা বিশ্রাম নিতেন। পরবর্তীতে মোগল এবং তারপরে মারাঠারা এটিকে সেনানিবাস বা ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি কুরুমবেড়া দুর্গ বা ফোর্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আবার কেউ কেউ মনে করেন চতুর্দিকে ছড়ানো প্রাচীর ঘেরা এই দুর্গ আসলে পান্থশালা ছিল। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আসা কিংবা ধর্মীয় স্থানে আসা মানুষেরা সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে থাকতে পারতেন।”

advertisement

View More

আরও পড়ুন : ১ টা পাতিলেবুর কামাল! বাড়ি থেকে হুড়মুড়িয়ে পালাবে অশুভ শক্তি! দীপাবলিতে জাদু টোটকা

তবে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে সাধারণ মানুষ ও গবেষকদের মধ্যে নানারকম মত থাকলেও বর্তমানে বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয়দের মতে কিছুটা অংশ মাটির তলায় চাপা পড়েছে। তবে শুধু ঘুরতে আসাই নয়, বেড়াতে এসে জানুন এই স্থাপত্যের ইতিহাস।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Weekend Trip Destination: ক্ষুধিত পাষাণের হাতছানি! রহস্যে ঘেরা ইতিহাসে ডুব দিতে ছোট্ট ছুটিতে বেড়াতে আসুন কুরুমবেড়া দুর্গে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল