জল কী করে আমাদের শীত মোকাবিলা করতে সাহায্য করে, দেখা যাক-
যথেষ্ট পরিমাণে জলপান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে৷ ফলে শরীর আমাদের শীত লাগে না৷ জলশূন্য শরীরেই বরং ঠান্ডা বেশি লাগে৷
ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতার জেরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়৷ ফলে আমাদের শরীর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে৷ তার জেরে হাইপোথার্মিয়ার সমস্যা দেখা দেয়৷
advertisement
শীতে জল কম খেয়ে অনেকেই অ্যালকোহল বেশি পান করেন৷ এতে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয় না৷ পুষ্টিবিদ পূজাও মনে করেন জলের বদলে অ্যালকোহল পান স্বাস্থ্যকর অপশন নয়৷
যাঁরা মনে করেন অ্যালকোহলের এক শট শরীরকে গরম রাখে, তাঁদের সকলের পূজার লেখা ক্যাপশন পড়তে হবে৷ তাঁর কথায়, হুইস্কি বা রাম-এর মতো পানীয়ে দেহের কোর টেম্পারেচার কমিয়ে দেয়৷ তিনি বলেন, ‘‘অ্যালকোহন পান করলে প্রথমে আপনার গরম লাগতেই পারে৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এই উষ্ণতা ধরে রাখা খুব কঠিন৷ অ্যালকোহলের প্রভাবে শরীরের কাঁপুনি ধরার প্রবণতাও বন্ধ হয়ে যায়৷ অথচ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাঁপুনিকে বলা হয় ন্যাচারাল রেসপন্স৷’’
জলের পাশাপাশি আরও কিছু পানীয় শীতে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী-
চা-
শীতে এক পেয়লা গরম চা জুড়িহীন৷ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে চা৷ মোকাবিলা করা যায় ঠান্ডাকে৷ ডিটক্সিফকেশনের সঙ্গে আমাদের শরীরকে উষ্ণ করে চা৷
হলুদ চা-
হলুদ দেওয়া চাকে বলা হয় ‘দ্য গোল্ডেন মিল্ক’৷ হৃদয্ন্ত্র, হাড় ও ত্বকের সুস্থতার জন্য এই পানীয় উপকারী৷ মধুমেহ রোগীদের কাছেও এই হলুদ চা উপকারী৷
আমন্ড মিল্ক-
বুদ্ধি তীক্ষ্ণ রাখার জন্য আমন্ড খবই উপকারী৷ আমন্ড মিল্কে থাকে ভিটামিন ই, পটশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি-উপাদান৷