পশুদের খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার ঠিকাদার আমজাদ মাহমুদের অভিযোগ, ‘‘এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনও অর্থ মেটাননি৷’’ অবশ্য পরে তিনি এও জানান, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব ঝামেলা মিটে গিয়েছে৷ তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে৷ চিড়িয়াখানাটি করাচি মেট্রোপলিটন কর্পোরেশন বা কেএমসি-র তত্ত্বাবধানে আছে৷
advertisement
বিতর্কিত প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে আসে সাংবাদিক কাটরিনা হোসেনের দৌলতে৷ তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন৷ সেখানে দেখা গিয়েছে একটি অতি দুর্বল সিংহ খাঁচায় ধুঁকছে৷ ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘করাচি চিড়িয়াখানা খাদ্য সরবরাহকারীদের টাকা দিতে ব্যর্থ...জীবজন্তুদের চেহারা এখন ভয়াবহ৷’’ এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে কয়েকশো বার শেয়ার করা হয়েছে৷ নেটিজেনদের অনেকেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দবি তুলেছেন৷
অন্যদিকে করাচি মেট্রোপলিটন কর্পোরেশনের মুখপাত্র আলি হাসান সাজিদের দাবি, সামাজিক মাধ্যমে যে ছবি ঘুরছে, সেগুলি পুরনো৷ তাঁর দাবি, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই কাজ করা হয়েছে৷ তিনি আরও জানান, খাবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলেও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অন্তত এক সপ্তাহের খাদ্য মজুত আছে৷
করাচি চিড়িয়াখানার সিনিয়র ডিরেক্টর খালিদ হসমিও ইন্টানেটে ঘুরতে থাকা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন৷ তিনি জানান, চিড়িয়াখানায় খাবারের কোনও অভাব নেই৷ রুটিন মেনে জীবজন্তুদের খাওয়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি৷ সাধারণ মানুষকে চিড়িয়াখানায় এসে জীবজন্তুদের দেখে যেতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি৷
খালিদ হসমি যে ভিডিও শেয়ার করেছেন সেখানে অন্যান্য জীবজন্তুরা থাকলেও সেই দুর্বল সিংহটি নেই! এই মর্মেও জানতে চেয়েছেন নেটিজেনরা৷ প্রশ্ন করেছেন স্বয়ং সাংবাদিক কাটরিনা হোসেনও৷
প্রসঙ্গত করাচি চিড়িয়াখানা পাকিস্তানের মধ্যে বৃহত্তম এবং প্রাচীনত্বের দিক থেকে লাহোরের পরেই এর স্থান৷
