সোশ্যাল মিডিয়ায় নলিনী লেখেন, ‘‘আমার পরিচারিকা খুব খুশি খুশি চেহারা নিয়ে আমার সামনে আসেন। তিনি আমাকে বলেন যে সুরাতে 3BHK ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে। আসবাবপত্র কিনতে খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। সব কিছুর জন্য মাত্র ১০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ নিতে হয়েছে।’’এখানেই শেষ নয়। বিস্ময় আরও অপেক্ষা করে ছিল নলিনীর জন্য। তিনি আরও জানতে পারেন যে ওই পরিচারিকার আরও একটি ভাড়া করা দোতলা বাড়ি এবং দোকানঘর আছে কাছের ভেলাঞ্জা গ্রামে। শোনার পর বিস্মিত নলিনী বাকরুদ্ধ হয়ে বসে ছিলেন।
advertisement
তাঁর পোস্টের শেষ নলিনী লেখেন যে তিনি মনে করেন সঠিক পথে অপচয় এবং বাজে খরচ বন্ধ করে সঞ্চয় করলেই এই অসাধ্যসাধন সম্ভব। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা দ্বিধাবিভক্ত। কিছু নেট ব্যবহারকারী গৃহকর্মীর প্রশংসা করেছেন,আবার কেউ কেউ সুরাতে ৬০ লক্ষ টাকা দামের ৩ বেডরুমের ফ্ল্যাট কীভাবে পাওয়া যায় তা জেনে হতবাক হয়ে গেছেন। একজন ব্যবহারকারী কমেন্ট বক্সে এক চমকপ্রদ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, “তাহলে ৬০ লক্ষ টাকায় ৩ বিএইচকে পাবেন!” “সুরাতে ৬০ লক্ষ টাকার ৩ বিএইচকে গল্পের মতো শোনাচ্ছে,” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন।
একজন নেটিজেন আবার কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেই উল্টে জিজ্ঞাসা করেছেন, “আপনি বাকরুদ্ধ কেন, কেউ উন্নতি করছে তাতে আপনার খুশি হওয়া উচিত?” একজন ব্যবহারকারীর মন্তব্যের জবাবে নলিনী লিখেছেন, “অবশ্যই আমি তার জন্য খুশি! কিন্তু সমাজ হিসেবে আমরা এই মানসিকতা তৈরি করেছি যে এই ধরনের চাকরিতে থাকা লোকেরা দরিদ্রই থাকবেন। বাস্তবে,শ্রমজীবীরা অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। আমরা যখন ক্যাফে,ফোন,দামি জিনিসপত্র এবং ভ্রমণে ব্যয় করি, তখন তাঁরা সঞ্চয় করেন এবং বুদ্ধির সঙ্গে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেন।”