TRENDING:

Viral Struggle: বাবা দিনমজুর, মা পরিচারিকা...রথের মেলায় বাদাম ও ঝুরিভাজা বিক্রি করে ভাইরাল ছোট্ট প্রিয়ার ভাঙা বাড়িতে অবশেষে আশার আলো

Last Updated:

Viral Struggle:রথের মেলায় হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাসের মাঝে ভাইরাল হয় এক কোণে দাঁড়িয়ে থেকে বাদাম বিক্রি করা শিশুটির মুখ। নাম প্রিয়া হালদার। বয়স মাত্র সাত বছর। বনগাঁ রথের মেলায় বাদাম ও ঝুড়িভাজা বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রুদ্রনারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: সাত বছরের প্রিয়ার রথের মেলায় বাদাম বিক্রির ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। যা দেখে বাবা মা ও পরিবারের সঙ্গে থাকা প্রিয়ার এক চিলতে টিনের চালের বাড়িতেই এদিন ছুটে গেলেন পুরপ্রধান। জানা গিয়েছে, রথের মেলায় হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাসের মাঝে ভাইরাল হয় এক কোণে দাঁড়িয়ে থেকে বাদাম বিক্রি করা শিশুটির মুখ। নাম প্রিয়া হালদার। বয়স মাত্র সাত বছর। বনগাঁ রথের মেলায় বাদাম ও ঝুরিভাজা বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে।
advertisement

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রিয়া হালদার বনগাঁ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবগড় এলাকার বাসিন্দা। মা রাখী হালদার লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা বাবুরাম হালদার একজন দিনমজুর। পুরসভার ডেঙ্গির রোধে মশার তেল ছিটানোর কাজ করেন। পরিবারে দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে প্রিয়া সবচেয়ে ছোট। পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তাই ছোট্ট প্রিয়াই সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়ে এই বয়সে বাদাম বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সমাজমাধ্যমে প্রিয়ার এত ছোট বয়সে এমন করুণ অবস্থার ছবি ভাইরাল হতেই, শিশুশ্রম আটকাতে মেয়েটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন অনেকেই। যা দেখে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের “রাধারাণী” চরিত্রের সঙ্গেও তুলনা করেন নেটাগরিকরা।

advertisement

আরও পড়ুন : ইউরিক অ্যাসিড থেকেই নিঃশব্দে হৃদরোগ! এই ২ টক জিনিস, ১ বীজে ইউরিক অ্যাসিড কমান, হার্ট বাঁচান!

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

ঘটনাটি নজরে আসার পর এদিন প্রিয়ার বাড়িতে হাজির হন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। প্রিয়ার অভিভাবকদের তিনি অনুরোধ করেন, যেন মেয়েটিকে আর শিশুশ্রমে পাঠান না হয়। পাশাপাশি প্রিয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বাড়ি সংস্কার ও শৌচালয় নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন। প্রিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয় বই ও খেলনা। চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘এটা শুধু প্রিয়ার জন্য নয়, বনগাঁ শহরের প্রতিটি শিশুর জন্যই বার্তা—শিশুশ্রম বন্ধ হওয়া উচিত। নজর রাখব যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও শিশুকে এই পথে নামতে না হয়।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Viral Struggle: বাবা দিনমজুর, মা পরিচারিকা...রথের মেলায় বাদাম ও ঝুরিভাজা বিক্রি করে ভাইরাল ছোট্ট প্রিয়ার ভাঙা বাড়িতে অবশেষে আশার আলো
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল