ড. বাত্রা’স গ্রুপ অফ কোম্পানিজ –এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, পদ্মশ্রী প্রাপ্ত চিকিৎস, ড. মুকেশ বাত্রা বলেন, ‘নির্দিষ্ট ঋতুতে বা মহামারীর প্রেক্ষিতে এই ধরনের ভাইরাল জ্বর চিন্তার কারণ বৈকী! সম্প্রতি দিল্লি এনসিআর, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল ফ্লুয়ের খবর মিলেছে, যাঁদের কোভিড-এর মতো লক্ষণ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই করে নিন হেয়ার স্মুদনিং, কেরাটিন ট্রিটমেন্ট! খরচ মাত্র দশ টাকা!
advertisement
কানেক্ট অ্যান্ড হিল, অ্যা কাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস অফ ইন্ডিয়া-র চিকিৎসক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস শরিফ বলেন, ‘সম্প্রতি যে ভাইরাল জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে তা অনেকটা ডেঙ্গির মতো অসুস্থ করছে। লক্ষণগুলি ডেঙ্গির মতো হলেও রিপোর্টে ডেঙ্গি দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ হয়ত ভাইরাস তার ক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলেছে।’
ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ কী কী—
তাপমাত্রা বৃদ্ধি। কখনও জ্বর আসে, কখনও চলে যায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন চলতে পারে। খুব বেশি জ্বরে প্যারাসিটামল কাজ নাও করতে পারে।
ক্রমাগত মাথাব্যথা।
অত্যধিক ক্লান্তি বা দুর্বল ভাব।
পেশী এবং গাঁটের ব্যথা।
কাশি, সর্দি বা নাক বন্ধ, গলা ব্যথা।
ডিহাইড্রেশন।
এই সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ খেতে হবে। বিশেষত, ১০ বছরের কম বয়সী শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তি ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:
কীভাবে নিরাপদ থাকা সম্ভব—
১. মশার কামড় থেকে বাঁচতে হবে।
২. ডাক্তারি পরীক্ষা এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া যাবে না।
৩. চিকিৎসকের মুখোমুখি হয়েই নিজের স্বাস্থ্যের কথা বলতে হবে। গুরুতর অসুস্থতায় কখনই টেলি মেডিসিন ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৪. বেশি করে পানীয় গ্রহণ করতে হবে। সঙ্গে সুষম খাদ্য ও বিশ্রাম প্রয়োজন।
৫. হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে নিয়মিত। হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু দিয়ে নাক, মুখ ঢেকে নেওয়া দরকার।
৬. প্রতিষেধক নেওয়া দরকার।