চিরাগ বরজাতিয়া নামে ওই এক্স ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “একজন নিরামিষভোজী হিসেবে টোফু, হোয়ে অথবা সোয়া গ্রহণ না করেই যেভাবে রোজকার ১৫০ গ্রাম প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব!” এমনকী এই পোস্টকে রেফারেন্স হিসেবে সেভ করে রাখা এবং রিপোস্ট করার জন্য মানুষের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এতে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবে।
advertisement
পোস্টে ১৫০ গ্রাম প্রোটিনের হিসেব যেভাবে দিয়েছেন, সেটা এরকম:
ব্রেকফাস্ট: ২০ গ্রাম আমন্ডের সঙ্গে ২ গ্লাস দুধ। এর সঙ্গে ১০০ গ্রাম ডালিয়া (রান্না না করা)। এতে ৩২ গ্রাম প্রোটিন মিলবে।
দুপুরের খাবার: ৫টি চাপাটি, ৫০ গ্রাম ডাল এবং ৫০০ মিলিলিটার বাটারমিল্ক। সব মিলিয়ে হল ৪৩ গ্রাম প্রোটিন।
স্ন্যাকস: ৫টি চাপাটি এবং ২০০ মিলিলিটার দুধ। সব মিলিয়ে হল ২৯ গ্রাম প্রোটিন।
ডিনার: ৫টি চাপাটি, ১০০ গ্রাম পনির, ৫০ গ্রাম ডাল (রান্না না করা) এবং ৫০০ মিলিলিটার বাটারমিল্ক। সব মিলিয়ে হল ৬১ গ্রাম প্রোটিন।
যদিও এই ডায়েটকে অনেকেই ‘অবাস্তব’ বলছেন। এমনকী তাঁরা বিষয়টা ভালভাবে নিতে পারেননি। বহু মানুষের বক্তব্য, এই ধরনের রুটিন মেনে চলা একেবারেই সম্ভব নয়। বিশেষ করে কর্পোরেট দুনিয়ায় কাজের সময়ে তো এটা অসম্ভব। ওই ডায়েটে চারটি মিলের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবশ্য একটা ওয়ার্কআউট রুটিনও দিয়েছেন ওই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়ার্কআউটের পরে ধীর গতিতে ৫ কিলোমিটার হাঁটতে হবে ট্রেডমিল অথবা ক্রস ট্রেনার কিংবা সাইকেলে। এর সঙ্গে ৮-৯ ঘণ্টার ঘুম আবশ্যক।
পোস্টটি আপলোড করার পর থেকে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ৪০ হাজারেরও বেশি ভিউজ এসেছে। এক এক্স ব্যবহাকারী লিখেছেন, “আমার মনে হয় এই ধরনের ডায়েট এবং রুটিন তখনই সম্ভব, যদি সারা দিন একটা মানুষ ওয়ার্কআউট, রান্নাবান্না এবং খাওয়াদাওয়া করে। আমার সন্দেহ রয়েছে যে, আমরা যেমন সময়ে কাজ করি, তাতে সেটা সম্ভব কি না।”
আবার অন্য এক নেটাগরিক লিখেছেন, “এক দিনে কখনওই এতটা বেশি খেতে পারব না। ব্রেকফাস্টে আমি হালকা খাবার খাই। একটা মিলে ৩টে চাপাটি খাই। যদি ভাত থাকে, তাহলে খাই ২টো চাপাটি। আর বেশির ভাগ দিন রাতে স্যালাড অথবা ধোসা কিংবা পরিজের মতো হালকা খাবার খাই। আর এই রুটিন মেনে চললে গোটা দিনটাই চলে যাবে। আমার মনে হয়, এটা পেশাদার বডি বিল্ডারদের জন্যই প্রযোজ্য।”