প্রসঙ্গত সাইবেরিয়ান সারস অসাধারণ ভ্রমণকারী। প্রতি শীতে, তারা উষ্ণ আবহাওয়া এবং খাবারের সন্ধানে সাইবেরিয়া থেকে ভারতে আসে প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দিয়ে। এই শক্তিশালী পাখিরা একদিনে ২০০ মাইল পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে। তারা সাধারণত নভেম্বরে বারাণসীতে আসে এবং দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত থাকে। মার্চ বা এপ্রিলে আবহাওয়া উষ্ণ হতে শুরু করলে, তারা সাইবেরিয়ায় ফিরে যায়। তাদের ভ্রমণ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদল উভয়ের জন্যই আনন্দ নিয়ে আসে, যা বারাণসীর শীতকে আরও বিশেষ করে তোলে।
advertisement
বারাণসীর ঘাটগুলি, বিশেষ করে দশাশ্বমেধ ঘাট, সাইবেরিয়ান সারসের আগমনে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ভোরবেলা এই পাখিদের দেখার জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। পটভূমিতে উদীয়মান সূর্যের আলোয় গঙ্গার উপর দিয়ে তাদের সুন্দরভাবে ভেসে বেড়াতে দেখা মনোমুগ্ধকর। পাখিদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য নৌকা ভ্রমণ একটি জনপ্রিয় উপায়। দর্শনার্থীরা শীতল বাতাস উপভোগ করেন, গরম চা পান করেন এবং সারসের অত্যাশ্চর্য ছবি তোলেন। নৌকাচালকরা নিশ্চিত করেন যে পর্যটকরা যাত্রা উপভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : বতসোয়ানা থেকে ৮ চিতা আসছে ভারতে! সফররত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে প্রতীকী হস্তান্তর
সাইবেরিয়ান সারসের আগমন স্থানীয় বিক্রেতাদেরও সাহায্য করে। অনেকে পর্যটকদের কাছে পাখিদের খাওয়ানোর জন্য শস্য এবং খাবার বিক্রি করে। শীতকাল তাদের জন্য ব্যস্ত সময় হয়ে ওঠে, যা তাদের উপার্জন বৃদ্ধি করে। পাখিরা প্রকৃতি, মানুষ এবং স্থানীয় অর্থনীতির মধ্যে এক অনন্য বন্ধন তৈরি করে। পর্যটকরা আনন্দের স্মৃতি নিয়ে চলে যান, অন্যদিকে নৌকাচালক এবং বিক্রেতারা জীবিকা নির্বাহ করেন, যা সকলের জন্যই লাভজনক। এককথায় পরিযায়ী পাখিদের কল্যাণে শীতের বারাণসী পর্যটকদের কাছে হয়ে ওঠে অবিস্মরণীয় গন্তব্য৷
