ডিটক্সিফাই এবং হজম
এক্ষেত্রে জিরে এবং জোয়ান এক চা চামচ করে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং সকালে মিশ্রণটি ফুটিয়ে গরম পরিবেশন করা হয়। খাদ্য হজমের জন্য প্রয়োজনীয় পাচক অ্যাসিড এবং এনজাইম জিরেতে থাকা থাইমল থেকে উৎপন্ন হয়। জোয়ান পাচনতন্ত্রকে শিথিল করার ক্ষমতার মাধ্যমে গ্যাস এবং পেট ফাঁপা দূর করতে কাজ করে।
advertisement
ডা. পাল বলছেন যে, এই মর্নিং ড্রিঙ্ক ঘুমের পরে পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে, ক্যাফেইন বা শক্তিশালী উদ্দীপক ব্যবহার না করেও অন্ত্রকে খাবার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে। অভ্যাসটি হজমশক্তি উন্নত করে, পেট ফাঁপা কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
অন্ত্রবিশেষজ্ঞ ডা. পাল মালাইকার এই মর্নিং ড্রিঙ্কের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে:
– জিরে এবং জোয়ানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং তেলের পরিমাণ শরীরকে বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
– পানীয়টি পিত্ত উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে, যা চর্বির ভাঙন এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
– জোয়ান শরীরে জল ধরে রাখার ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে এবং পুষ্টির শোষণ উন্নত করে।
– নিয়মিত ব্যবহার বিপাক এবং চর্বি ভাঙনের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
– এই মিশ্রণে মৌরি বীজ যোগ করলে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায় এবং একই সঙ্গে অ্যাসিডিটি হ্রাস পায়।
ডা. পাল বলেন যে, এই মর্নিং ড্রিঙ্ক স্বাস্থ্য, বিশেষ করে অন্ত্রের সমস্যায় কোনও জাদুকরী সমাধান হিসাবে কাজ করে না, তবে এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং বিপাকীয় কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য একটি নিরাপদ পদ্ধতি প্রদান করে। এই মর্নিং ড্রিঙ্ক কোনও গুরুতর প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করেই প্রাকৃতিক পথে শরীরের প্রক্রিয়াগুলি পরিচালনার সহায়ক হয়।
ডা. পাল আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই ঐতিহ্যবাহী মর্নিং ড্রিঙ্ক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, শরীর সারা দিন ধরে পর্যাপ্ত শক্তি লাভ করে এবং ঘন ঘন খাওয়ার ইচ্ছাও তৈরি হয় না- এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।