জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে নয়, নদীর স্রোতকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জলজ পর্যটন কেন্দ্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে আইআইটি খড়গপুর এর প্রাক্তনী-সহ হানিলুপ টেকনোলজির আধিকারিকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি এবং ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামকে সংযোগ করেছে জঙ্গলকন্যা সেতু। এই সেতুর এক প্রান্তে ডাহি এলাকায় চালু হয়েছে এই বিশেষ নদী ভ্রমণের ব্যবস্থা। শীত প্রধান দেশে বিভিন্ন হ্রদে কায়াকিং-এর সুবিধা পাবেন এখানে। যেখানে নিজে এবং অপর একজন সওয়ারীকে নিয়েও মজা নিতে পারবেন এখানে এসে। সম্প্রতি চালু হওয়া এই বিশেষ পরিষেবা বেশ উপভোগ করছেন ঘুরতে আসা মানুষজন।
advertisement
নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দিশা দেখিয়েছিল আইআইটি খড়গপুরের দুই গবেষক পড়ুয়া। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি নদীকে কেন্দ্র করে পর্যটনের নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন তারা। ইকো ট্যুরিজমের মধ্য দিয়ে আর্থিক কর্মসংস্থানেরও এক দিগন্ত খুলেছেন এই গবেষকেরা। সম্প্রতি চালু হওয়া এই নতুন পরিষেবার মধ্যে রয়েছে চারটি সাইকেলিং বোট, র্যাফটিং, কায়াকিং বোটও।
তবে আগামীতে নদী বক্ষেই ভাসতে ভাসতে রাত্রি যাপন করা যাবে সেখানে শীঘ্রই চালু হবে হাউসবোট। সামান্য টাকার বিনিময়ে এই জয় রাইড উপভোগ করতে পারবেন আপনিও। স্বাভাবিকভাবে পর্যটন মানচিত্রে এক নতুন দিগন্ত এবং নতুন ধারণার অনুমোচিত হয়েছে এখানে। শীতের এই মরশুমে এবং বড়দিনের ছুটিতে বেশ ভাল ভিড় জমছে সুবর্ণরেখায়।





