এ বছরও নীলকণ্ঠ বারুইপুর থেকে উড়ে গেল কৈলাস। বার্তাও পৌঁছে দিল। যদিও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে নীলকণ্ঠ ধরা নিষিদ্ধ। তবুও রীতি মানার দায়িত্ব থেকে বারুইপুরের রায়চৌধুরী পরিবার এ রেওয়াজ বজায় রেখেছে। পরিবারের সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরীর কথায়, “নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো আমাদের রীতি। তাই আইনের বেড়াজালের মধ্যে থেকেও তা ছাড়তে হয়।” পঞ্চাশ বাহকের কাঁধে চেপে ঢাক-ঢোল-কাঁসর বাজিয়ে রায়চৌধুরীদের দুর্গার বিসর্জন হল এবছর। ৩০০ বছরেরও বেশি বয়স এ পুজোর। রুপোর চামর, পাখা, ছাতা সহযোগে হয় শোভাযাত্রা।
advertisement
বারুইপুরের সদাব্রত ঘাটে বছরের পর বছর ধরে বিসর্জন হয়ে চলেছে। রাসমাঠে এ পরিবারের দুর্গাদালান। সেখানে বরণ করেন পরিবারের প্রবীণ মহিলারা। সিঁদুরখেলায় মাতেন। এরপর ৫০ বেহারা প্রতিমা কাঁধে তুলে রওনা দেন। এ পরিবারের শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, “বারুইপুরের রামনগর থেকে বাহকরা আসছেন বছরের পর বছর। শোভাযাত্রার সম্মুখে দেবী ঘট নিয়ে থাকেন পরিবারের কোনও সদস্য। রুপোর পাখার বাতাস করতে করতে, চামর দুলিয়ে ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাকে। দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।”