এই রাজত্ব স্থাপন করার পর দেউ অধৈর্যের রাজবাড়িতে শুরু হয় মা দুর্গার আরাধনা। তখনকার আমলে অষ্টমীর দিন মন্দিরে একটি আবিরের থালা রাখা থাকত। সেখানে একটি সাদা পায়রা উড়ে এসে বসত এবং সেই আবিরের পায়ের ছাপ দিত মন্দিরে, তারপরই গুলি চলত। গুলি চলার পর তোপধ্বনীর শব্দে অষ্টমী পালিত হত। এই রাজবাড়ির তোপের শব্দে পার্শ্ববর্তী এলাকার মণ্ডপে অষ্টমী পালিত হত।
advertisement
রাজবাড়ির এই পুজোয় সপ্তমীর দিন থেকে মহাযোগ্যকুণ্ড জ্বলতে থাকে নবমী পর্যন্ত। পুজোর টানা তিন দিন অগ্নিকুণ্ড জ্বলতে থাকে। এই রাজবাড়িতে এখনও রয়েছে সেগুলি। রীতিনীতি মেনে এখনও অষ্টমীতে চালানো হয় গুলি এবং তোপ।
মালিয়াড়া রাজবাড়ির দুর্গাপুজো সাড়ে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন। দেউ অধুর্যের রাজত্ব চলে গেলেও এখনও দাঁড়িয়ে আছে রাজবাড়ি ও দুর্গা মণ্ডপ। দেও আধুর্যের বংশধর হিমাদ্রি নারায়ণ চন্দ্রধূর্জ ও মেঘাদ্রি নারায়ণ চন্দ্রধূর্জ এই দুই ভাই রীতিনীতি মেনে এখনও দুর্গাপুজো চালিয়ে আসছেন।