১৮৭ বছরের প্রাচীন দত্ত বাড়ির পুজো শুরু করেন বাবু প্রাণকৃষ্ণ দত্ত, ১৮৩৮ সালে । প্রাণকৃষ্ণ দত্ত তখন জজানের জমিদার ছিলেন। তখন তাঁর বিশাল জমিদারি ,কলকাতা এবং বোলপুরে তাঁর ব্যবসা। কথিত আছে, দেবী ওঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে পুজো শুরু করার আদেশ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই নিয়মনিষ্ঠা মেনে হয়ে আসছে দত্ত বাড়ির দুর্গাপুজো।
advertisement
একচালার দশভুজা মায়ের প্রতিমার চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ডাকের সাজে সজ্জিত। বৈষ্ণবমতে হয় মায়ের পুজো। পুজোর চারদিন হয় চন্ডীপাঠ। ষষ্ঠীর দিন মা দুর্গাকে আবাহন করা হয়। সন্ধায় দেবীর অধিবাস হয়। পঞ্জিকার নির্ঘণ্ট মেনে মহাসপ্তমীর দিন সকালে ঘট আসে এবং নবপত্রিকা (কলা বৌ) স্নান করানো হয় লক্ষ্মী সাগরে। বোধনের দিন থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত দু’বেলা নহবতে সানাই ও টেকরা বাজানোর রীতি আজও চলে আসছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আগে ঠাকুর মন্দিরে ঝলমল করত বেলজিয়াম গ্লাসের ঝাড়বাতি! গুলির শব্দে মহাষ্টমীর পুজোর সূচনা হত! আজ সে-সব অতীত।
মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী





