মন্দিরের গায়ে রয়েছে পাথরের ভাস্কর্য৷ চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জানা অজানা কাহিনি। পুরুলিয়ার অন্যান্য দুর্গাপুজোর থেকে এই পুজোর রূপ অনেকটাই আলাদা। প্রকৃতির কোলে হয় মায়ের পুজো। জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন এখানে ৷ শহরের পুজোর মতো জাঁকজমক না থাকলেও, এখানে ভক্তের ঢল থাকে চোখে পড়ার মত।
advertisement
দেউলঘাটা মন্দিরের পূজারী রাজীব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কষ্টিপাথরের তৈরি এই দুর্গা মূর্তি। কথিত আছে, প্রায় পাল বংশের আমল থেকে এই পুজো চলে আসছে। জেলার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো এটি। সারা বছরই এই দুর্গামূর্তির আরাধনা করেন তিনি।
দুর্গাপুজোর চারটে দিন মহা ধুমধামের সঙ্গে পুজো হয় এই মন্দিরে। দুর-দূরান্ত থেকে মানুষের সমাগম হয়। পর্যটকদেরও ঢল নামে। পুরুলিয়া শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত দেউলঘাটা। জঙ্গলে ঘেরা মনোরম এই দেউলঘাটার পরিবেশ। মন্দিরের গায়ে অসাধারণ পাথরের ভাস্কর্য। মন্দিরের দরজা ত্রিভুজাকৃতি। এখনও নিয়ম মেনে করা হয় নিত্য পুজো। পুজোর চার দিন থাকে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রথা মেনেই মহালয়ার দিন থেকে চণ্ডী পাঠ দিয়ে শুরু হয় পুজো। জেলার ঐতিহ্য এই মন্দির।