নিরাপদ আর আরামদায়ক জায়গা:
দীপাবলির রাতে শব্দবাজির দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে বাড়ির পোষ্যদের। যেখানে বাজি ফাটছে, সেখান থেকে দূরে পালিয়ে যেতে চায় তারা। আর কোনও একটা আবদ্ধ ঘেরাটোপে লুকিয়ে পড়ে। সে খাট কিংবা সোফার তলাই হোক আর শৌচাগারই হোক। এটা আসলে তাদের বিপদ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি। তাই দীপাবলির সময় ঘরের দরজা-জানলায় ঝোলাতে হবে ভারী পর্দা। সেই সঙ্গে দরজা-জানলাও বন্ধ করে রাখতে হবে, যাতে বাজির শব্দ ঘরের ভিতর অবধি না-পৌঁছতে পারে। আর ঘরের ভিতর একটা শান্ত মিউজিক চালিয়ে রাখতে হবে। শুধু তা-ই নয়, যখন প্রচণ্ড বাজি ফাটবে তখন পোষ্যকে নানা ভাবে ব্যস্ত রাখতে হবে। তার সঙ্গে খেলতে হবে আর তাকে কাছে কাছেই রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : কালীপুজোর রাতে রসনাতৃপ্তিতে পাতে পড়ুক যজ্ঞি বাড়ির পাঁঠার মাংস, রইল রেসিপি
পছন্দের ট্রিট:
পোষ্যর সবথেকে পছন্দের খাবার দিতে হবে। যেমন, বাড়ির পোষ্য কুকুর মানুষের মতোই মিষ্টি খেতে খুবই ভালবাসে। সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য বাড়িতে কোনও মিষ্টি খাবার তৈরি করা যেতে পারে। কারণ মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে, বাজারে উপলব্ধ মিষ্টি কিংবা ক্যান্ডিতে থাকে কৃত্রিম স্যুইটনার জাইলিটল। এই উপাদান পোষ্যদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই বাড়িতেই ওদের জন্য বানিয়ে নিতে হবে স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার। অন্যান্য পোষ্যদেরও তাদের পছন্দসই খাবার দেওয়া উচিত।
বাইরে ঘোরায় নিষেধাজ্ঞা:
অনেকেই সময় মেনে রুটিন তৈরি করে নিজের পোষ্যদের বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যান। কিন্তু এই রুটিন দীপাবলির সময়ে ভাঙলে কোনও অসুবিধা হবে না। আসলে শব্দদানবের উপদ্রব চলাকালীন পোষ্যদের বাইরে নিয়ে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ তাতে তাদের আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক সময় আতঙ্কে পোষ্যরা এ-দিক সে-দিক দৌড়াদৌড়ি করে পালানোর চেষ্টা করে। ফলে বাড়ির সদর দরজা অর্থাৎ বাড়ি থেকে বেরোনোর সমস্ত পথ বন্ধ করে রাখতে হবে।
বাইরে থাকা পোষ্যদের জন্য:
এ-তো নয় গেল বাড়ির পোষ্যদের কথা! তবে মনে রাখতে হবে যে, আমাদের বাড়ির আশেপাশেও এমন ছোট্ট ছোট্ট সদস্য রয়েছে, যারা রাস্তাতেই থাকে। ওরাও কিন্তু শব্দদানবের উপদ্রবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই রাস্তার কুকুর-বিড়ালদেরও খেয়াল রাখা উচিত। প্রয়োজনে তাদের নিজেদের বাড়িতেই আশ্রয় দিতে হবে। পারলে বাড়ির মেন গেট খুলে তাদের পার্কিংয়ের জায়গা কিংবা গ্যারেজে নিরাপদ জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। শুধু কুকুর-বিড়ালই নয়, পাখিরাও শব্দবাজির দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আতঙ্কে জেরবার হয় তারাও। এই সমস্যা কিছুটা হলেও দূর করতে বাড়ির সামনে কিংবা দরজা-জানলার সামনে একটা ছোট্ট বাটিতে জল রেখে দিতে হবে। এতে ওদের শরীর হাইড্রেটেড তো থাকবেই, সেই সঙ্গে ওদের উত্তেজনাও অনেকটাই কেটে যাবে।