প্রাকৃতিক বেড়ার অর্থ হল – গাছের মাধ্যমেই বেড়া দেওয়া। আর এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য করমচা গাছ দিয়ে প্রাকৃতিক বেড়া দেওয়া যেতে পারে। এতে কৃষকদের অতিরিক্ত আয় হবে। আর পথচলতি গবাদি পশুরা ফসল নষ্ট করতে পারবে না। আর সবথেকে বড় কথা হল, করমচা গাছ তৈরি করতে তেমন খরচও করতে হবে না কৃষকদের।
advertisement
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক ড. পুনীত কুমার পাঠক বলেন, করমচা এমন একটি উদ্ভিদ, যা কম সেচবিশিষ্ট এলাকাতেও সহজেই জন্মাতে পারে। আর মাত্র ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে এই গাছটি। শুধু তা-ই নয়, কৃষকরা করমচা গাছের বাগান করেও প্রচুর লাভ করতে পারেন। কৃষকরা যদি করমচার বাগান করতে চান, তাহলে বর্ষার আগেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। যদি এই গাছ মাঠের ধারে লাগানো হয়, তাহলে আশপাশের গবাদি পশু জমি বা বাগানে ঢুকে ফসল নষ্ট করতে পারবে না।
এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা আবশ্যক:
১. করমচা গাছের বাগান করার জন্য বর্ষার আগেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
২. যদি করমচা গাছের বাগান তৈরি করা হয়, তাহলে এক-একটি গাছের মধ্যে দূরত্ব ২ থেকে ৩ মিটার রাখা আবশ্যক।
৩. যদি করমচা গাছ দিয়ে কৃষক বেড়া দিতে চান, তাহলে ১ থেকে ১.৫ মিটার দূরত্বে করমচা গাছ লাগাতে হবে।
৪. করমচা গাছ লাগানোর জন্য বর্ষার আগে গর্ত খনন করে জমি প্রস্তুত করে নিতে হবে।
৫. গর্ত খনন করার পর মাটিতে পচা গোবর এবং বাভেরিয়া বাসিয়ানা মিশিয়ে মাটি পরিশোধন করতে হবে।
৬. বৃষ্টি হওয়ার পরে করমচা গাছ লাগানো যেতে পারে।
এই রোপণ কৌশল কার্যকর:
কেউ যদি কলম পদ্ধতিতে প্রস্তুত করমচা গাছ রোপণ করেন, তাহলে এটি মাত্র ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফলন দিতে শুরু করবে। বিশেষ বিষয় হল, একটি গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ কেজি করমচা পাওয়া যেতে পারে। কৃষক যদি বীজ থেকে প্রস্তুত গাছ রোপণ করেন, তাহলে ফলন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে এবং উৎপাদনও কম হবে।