আমরা যে খাবার খাই তা গ্রন্থির উপর প্রভাব ফেলে। অতএব, আমাদের অবশ্যই থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Control) তৈরি করতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। থাইরয়েডকে সুস্থ রাখে এমন খাবার বাড়াতে হবে খাদ্যতালিকায়।
আরও পড়ুন- নীল ছবিতে আসক্তি? বিয়ে বা প্রেমে নেমে আসা ভাঙন ঠেকাতে সতর্ক হন এখনই
কোন কোন খাবার থাইরয়েডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ:
advertisement
মাছ
মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা প্রদাহ কমায় এবং অনাক্রম্যতা তৈরিতে সাহায্য করে। মাছ সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ, এটি থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করে।
বাদাম
বাদামও সেলেনিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস যা থাইরয়েডের কার্যকারিতায় সাহায্য করে। সুতরাং টিফিনে জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে অল্প বাদাম খান।
দই
সঠিক পরিমাণে আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি এবং গলগন্ড সৃষ্টিতে বাধা দেয়। দইয়ে যথেষ্ট আয়োডিন থাকে এবং চর্বি কম থাকে, তাই থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী দই।
গোটা শস্যদানা
ফাইবার সমৃদ্ধ গোটা শস্য কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে যা হাইপোথাইরয়েডিজমের একটি গুরুতর লক্ষণ। অনেকেই গোটা শস্য এড়িয়ে চলেন যাতে সমস্যা বেড়ে যায় বহুগুণ। থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গোটা শস্য অবশ্যই খাওয়া উচিত।
রোস্টেড সিউইড
আয়োডিনের আরেকটি সমৃদ্ধ উৎস হল সামুদ্রিক শৈবাল। সামুদ্রিক শৈবাল রোস্ট করে স্যালাড হিসেবে খান, মিলবে পর্যাপ্ত আয়োডিন। থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবশ্যই খান সামুদ্রিক শৈবাল।
আরও পড়ুন- পেয়ারার গুণ অসীম, তবে সন্ধ্যেবেলা পেয়ারা খাচ্ছেন! কী মারাত্মক ভুল করছেন জানেন?
থাইরয়েড সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
সয়াবিন
সয়াবিনে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা থাইরয়েডের হরমোন তৈরির ক্ষমতা হ্রাস করে। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়োডিন গ্রহণ করেন, তাহলে সয়াবিনে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদি খাদ্যতালিকায় আয়োডিনের অভাব থাকে এবং তাও সয়াবিন খান, তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফুলকপি এবং ব্রকলি
শরীরে যদি আয়োডিনের ঘাটতি থাকে তবে ফুলকপি এবং ব্রকলি থাইরয়েড হরমোন উত্পাদনে বাধা দেয়।
চিনিযুক্ত খাবার
খাবারে বেশি চিনি ক্যালোরি বাড়ায় এবং শরীরে কোনো পুষ্টি জোগায় না। যে পরিমাণ চিনি খান রোজ তার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়াই ভাল।