গণেশ ঠাকুরের প্রিয় এই মোদক খেতেও সত্যি অপূর্ব৷ বাপ্পার পছন্দের জবাব নেই৷ তাই বাপ্পার প্রসাদ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে ভক্তকূল৷ বিশেষত মিষ্টি প্রিয় বাঙালির তো মোদকের প্রতি আলাদাই আকর্ষণ৷ কিন্তু আজকের দিনে স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালির মোদক প্রেমে বাধ সাধছে চিনি৷ মুশকিল আসান হয় যদি চিনি ছাড়া মোদক বানানো যায়৷ আপনার সমস্যার সমাধানে রইল চিনি ছাড়া মোদকের রেসিপি৷ এবার গণেশ আরাধনায় প্রাণ ভরে মোদক খান ,ক্যালোরির চিন্তা ছাড়াই৷
advertisement
আরও পড়ুন: গণেশ পুজোর দিনে তিথি ও সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম, সৌভাগ্য-সমৃদ্ধি উপচে পড়ে
চিনি ছাড়া মোদক তৈরিতে লাগবে ১০০ গ্রাম শুকনো নারকেল, ১০০ গ্রাম কাজু , ১০০ গ্রাম কিসমিস, ১০০ গ্রাম আমন্ড এবং ১০০ গ্রাম পোস্ত ৷ এবার চিনি ছাড়াই আপনার মোদককে মিষ্টি করে তুলবে খেজুর৷ তাই সুগার-ফ্রি মোদকে লাগছে ৪০০ গ্রাম খেজুর ৷ খেজুরের বীজ গুলি ফেলে দিতে ভুলবেন না কিন্তু৷
পদ্ধতি:
প্রথমে সমস্ত ড্রাই ফ্রুটসগুলি অর্থাৎ কাজু, কিসমিস, আমন্ড, আখরোট সহ শুকনো নারকেল এবং খেজুর গুলিকে ছোট-ছোট পিস করে নিন৷ এরপর কাজু, আখরোট এবং আমন্ড-সহ এই তিন রকম বাদামকে শুকনো খোলায় ১ থেকে ২ মিনিট একটু ভেজে নিন৷ সাবধান, পুড়ে যেন না যায়৷ ভাজা হলে একটি প্লেটে আলাদা করে তুলে রাখুন৷
একইভাবে নারকেলগুলোকেও ভেজে নিন, যতক্ষন না হালকা বাদামি হচ্ছে৷ এরপর ওই একই কড়াইতে পোস্ত দিয়ে ঠিক একইভাবে হালকা করে ভেজে নিন ও আলাদা করে রাখুন৷ এখন শুকনো খোলায় ভেজে রাখা সবরকম বাদামগুলি আর নারকেল , পোস্ত সমেত গুঁড়ো করে নিন৷
এবার কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে খেজুর এবং কিসমিস দিয়ে দিন৷ প্রায় মিনিট পাঁচেক ধরে নাড়ুন, যতক্ষন না খেজুর আর কিসমিস মিলে প্রায় থকথকে হয়ে যায়৷ হয়ে গেলে ঠান্ডা করতে দিন৷
এখন আগে থেকে গুঁড়ো করে রাখা সমস্ত উপাদানের সঙ্গে খেজুর আর কিসমিসের মিশ্রনটিকে ভাল করে মিশিয়ে দিন৷ পুরো মিশ্রনটি কড়াইতে নিয়ে ২-৩ মিনিট ধরে একটু নাড়াচাড়া করুন৷ সব উপকরণ ভালভাবে মিশে গিয়ে বেশ ঘন মিশ্রণ হয়ে গেলে কড়া থেকে নামিয়ে নিন আর ঠাণ্ডা করতে দিন৷ আপনি হাত দিতে পারছেন ততটা ঠাণ্ডা হলেই মোদক বানানো শুরু করুন৷ একেবারে নাড়ু বানানোর মতোই একইভাবে মিশ্রণের খানিকটা হাতে নিয়ে মোদকের আকারে গড়ুন অথবা মোদকের ছাঁচ থাকলে মিশ্রনটিকে সেই ছাঁচে ফেলুন৷ ব্যাস এইভাবে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন সুগার-ফ্রি মোদক৷