দৈনন্দিন জীবনে অত্যধিক রঙিন খাদ্য গ্রহণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদিও এনামেল পরিবর্তনে সাহায্য করে। যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে তাঁরা স্কেলিং করিয়ে, নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রেখে বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারেন। তবে এর জন্য আরেকটি পদ্ধতিও রয়েছে। একে জুন পদ্ধতি বলা হয়। এতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড ব্যবহার করে দাঁত সাদা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল থেকে হতে পারে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক! এই ২ ঘরোয়া উপাদানই মহৌষধ, জেনে নিন
এনামেলের রঙ পরিবর্তিত হলে দাঁতের ভিতরে তো বটেই দাঁতের বাইরের দিকেও বিবর্ণতা দেখা দেয়। আমরা যে জল পান করি তাতে ফ্লোরাইডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অনেকসময়ই দাঁতের ভেতর থেকে অনেক পরিবর্তন ঘটে এবং ফলে দাঁতের রঙ হলুদাভ, সবুজ বা কালো দেখায়। এগুলি আসলে ফ্লোরাইডের দাগ। তাই এদের অপসরনের জন্য স্থায়ী চিকিৎসা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে, দাঁতে যেকোনও আঘাতের কারণেও দাঁতের রঙ পরিবর্তিত হতে পারে। দাঁতের রঙ ফেরত পেতে আমাদের ক্রাউন বা ভেন ইজ বা ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
বয়স সম্পর্কিত কারণেও এনামেল ধীরে ধীরে বিবর্ণ হতে পারে। এক্ষেত্রে গ্রাউন্ড, ভেনিস বা ক্যাপ ব্যবহার করেও এর নিয়মিত চিকিৎসা করানো যেতে পারে। দাঁতের সাদা রঙ ধরে রাখতে, দিনে দু’বার ব্রাশ করা উচিত। সর্বদা সঠিক ব্রাশ করার কৌশল এবং কম মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি ছোট স্প্রে বোতলে ভরে দাঁতের গোড়ায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।