TRENDING:

Air pollution: শীত ও দূষণে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ত্বক? ঘরোয়া উপায়েই মিলবে মুক্তি, জানুন বিশেষজ্ঞের মত

Last Updated:

বায়ু দূষণের বর্তমানে একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এতে কেবল চোখ ও ফুসফুসই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা কিন্তু নয় ত্বকে উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বায়ু দূষণের বর্তমানে একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এতে কেবল চোখ ও ফুসফুসই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা কিন্তু নয় ত্বকে উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যেকোনও দূষণের কণা এবং অণুজীব প্রথমেই আক্রমণ করে ত্বকে। এর মধ্যে প্রধানত উদ্বায়ী জৈব যৌগ (VOCs), পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক পলুটেন্টস (PAHs) এবং পার্টিকুলেট ম্যাটার (PM) থাকে। এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিক ত্বকের জন্য খুবই বিপজ্জনক। এই ধোঁয়াটে বিষাক্ত রাসায়নিক ত্বককে কতটা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে সেই বিষয়ে গুরুগ্রামের বিড়লা হাসপাতালের কনসালটেন্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সীমা ওবেরয় লাল বলেছেন।
advertisement

তিনি জানান, শত শত ক্ষতিকারক রাসায়নিক ত্বককে সরাসরি প্রবেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের কীটনাশক, দ্রাবক রাসায়নিক, ফিনাইল দ্বারা পলিক্লোরিনযুক্ত, আইসোথিওসায়ানেট, হাইড্রোকার্বন, সুগন্ধযুক্ত যৌগ, বেনজিন, আর্সেনিক, সীসা, অতিবেগুনি রশ্মি ইত্যাদির মতো ভারী ধাতু। এগুলোর বেশিরভাগই চর্বি দ্রবণীয়, তাই একবার এগুলি ত্বকে লেগে গেলে খুব সহজেই ত্বকে প্রবেশ করে এবং সেখানেই থেকে যায়।

advertisement

আরও পড়ুন: এই ৫ জলখাবারেই ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে! সারাদিন থাকবেন চনমনে

চিকিৎসক সীমা ওবেরয় বলেন, “যে অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ প্রথম যে কাজটি করে তা হল এটি ত্বকের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে। এর ফলে ত্বকের কোষে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল বাড়তে থাকে এবং কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস শুরু হয়। এখান থেকেই ত্বকের নানা সমস্যার সূত্রপাত।”

advertisement

আরও পড়ুন: বাজি পোড়ানোর সময় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথমেই কী করবেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের থেকে

ত্বকের কোষে অক্সিডাইজড স্ট্রেসের কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এ কারণে ত্বকের অকালে বার্ধক্য শুরু হয়। ত্বকে অতিরিক্ত পিগমেন্টেশন এবং বলিরেখা শুরু হয়। ত্বকে বায়ু দূষণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস আকারে দেখা যায়। এর প্রথম প্রভাবে ত্বক ডিহাইড্রেটেট হতে শুরু করে। তার মানে ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে এবং প্রতিরক্ষামূলক স্তর ভাঙ্গতে শুরু করে। এটোপিক ডার্মাটাইটিসের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ত্বকে চুলকানি ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এর ফলে অ্যালার্জি এবং একজিমা হয়। এ ছাড়া ত্বকে ফুসকুড়ি, কনুই ও ঘাড়ের পেছনে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।” দীর্ঘক্ষণ ত্বক ভারী ধাতুর সংস্পর্শ থাকলে থাকলে ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

advertisement

প্রতিরোধের উপায়

১. চিকিৎসক সীমা ওবেরয় বলেন, যে এই মারাত্মক দূষণ এড়াতে, স্নানের আধা ঘন্টা আগে নারকেল তেল লাগান। শরীরকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য নারকেল তেলের চেয়ে ভাল প্রাকৃতিক উপাদান আর কিছু নেই। স্নানের পরপরই বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার লাগান।

২. স্নানের সময় খুব গরম জল ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন, জল অতিরিক্ত গরম থাকলে তা ত্বকে ডিহাইড্রেট করে দেয়।

advertisement

৩. বাইরে যাওয়ার সময় আপনার শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখুন এবং মাস্ক পরুন। মুখে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। তালু এবং হাতেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।

৪. যেহেতু ফ্রি র‌্যাডিকেল ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে, তাই ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাব কমাতে আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এমন খাবার রাখুন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এবার প্লাস্টিকের যুগ শেষ, বাজার কাঁপাচ্ছে মাটির বাসনপত্র! জেনে নিন দাম
আরও দেখুন

৫. খাবারে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বাড়ান। এ জন্য গাজর, সবুজ শাক, সবুজ শাক-সবজি, তাজা ফল ইত্যাদি খান। যতটা সম্ভব স্ট্রবেরি, টমেটো, চেরি, তরমুজ, ব্রকলি, সূর্যমুখীর বীজ, কমলা, কিউই, সাইট্রাস ফল, স্প্রাউট ইত্যাদি খান। এই জিনিসগুলিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই যুক্ত খাবারও খান।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Air pollution: শীত ও দূষণে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ত্বক? ঘরোয়া উপায়েই মিলবে মুক্তি, জানুন বিশেষজ্ঞের মত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল