যক্ষ্মা একটি গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগ, যা ফুসফুসকে প্রধানত প্রভাবিত করে। এটি একটি মারাত্মক ব্যাকটিরিয়া সংক্রমিত রোগ যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুস ছাড়াও কিডনি, হাড়ের জয়েন্ট, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, হার্টের পেশি এবং স্বরযন্ত্রকেও প্রভাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, টিবি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ এবং এটি মূলত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাশেন, বা হাঁচেন বা কোথাও থুতু ফেলেন তখন এ সবের মাধ্যমে টিবি-র জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: যাঁরা লাল রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন, তাঁদের চরিত্র কেমন হয় জানেন? জানুন জ্যোতিষকথা
অল্প সংখ্যক টিবির জীবাণুও যদি বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসে মেশে, তাহলে সেই ব্যক্তিও যক্ষ্মা রোগের শিকার হন। সক্রিয় যক্ষ্মার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে– ১) রাতে অতিরিক্ত ঘাম এবং জ্বর, ২) উল্লেখযোগ্য ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস, ৩) ক্রমাগত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, ৪) শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা, ৫) রক্ত বা শ্লেষ্মাসহ অবিরাম কাশি।
আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে গরম, জেলা জুড়ে সকালে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবে থেকে জানেন?
যক্ষ্মার প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী? ডাক্তার সব্যসাচী গুণের মতে, টিবির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অবিরাম কাশি, জ্বর, রাতের ঘাম, ওজন হ্রাস এবং ক্লান্তি। যদি আপনি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। যক্ষ্মা কি নিরাময়যোগ্য? হ্যাঁ, সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য। সম্পূর্ণ চিকিৎসার জন্য, ডাক্তারের নির্দেশিত সম্পূর্ণ ঔষধ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)