স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করার পর ভারত সরকার তাঁকে জার্মানিতে পাঠিয়েছিলেন নোবেলজয়ীদের এক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। ২০১০ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি বম্বে আইআইটি থেকে আমন্ত্রণ পান সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পড়ানোর জন্য। তবে সে চাকরি ছিল অস্থায়ী। ২০১৯-এ চাকরি থেকে বরখাস্ত হন তিনি।
তথাগত তুলসির চাকরি হারানোর কারণ লুকিয়ে আছে আরও কয়েক বছর পিছিয়ে ২০১১ সালে। সে সময় তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হন তথাগত। ধরা পড়ে অ্যাস্থমাটিক অ্যালার্জি। শরীর সুস্থ করতে ছুটি নেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি চার বছরের জন্য ছুটি নেন আইআইটি বম্বে থেকে। তার পর থেকে তিনি পটনাতেই ছিলেন। মুম্বই ফিরে গিয়ে আইআইটি-র চাকরিতে যোগ দেননি। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
advertisement
তাঁর দাবি, অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সমুদ্র পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকলে শারীরিক কষ্ট আরও বাড়ত। বেঙ্গালুরু বা দিল্লিতে থাকলে তিনি সুস্থ থাকতেন। দাবি তথাগতর। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি কর্মস্থল থেকে বদলি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই দাবি মঞ্জুর হয়নি।
এখন তিনি কর্মহীন। আইন পড়ছেন তথাগত তুলসি। তিনি চান তাঁর সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, আইন পড়ে তার প্রতিকার করবেন। তাঁর প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। অনেকেই বলেছেন তথাগত তুলসি অসামান্য মেধাবী। আবার তাঁর মেধা ও কৃতিত্ব নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।