সেই আক্ষেপ এবং চাহিদা মেটাতে বছর পাঁচেক আগে টিআরডি-এর পক্ষ থেকে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বারকার পশ্চিম পাড়ে প্রায় হাফ কিমি দৈর্ঘ্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে।নদীর পাড় উঁচু করে গড়ে উঠছে পার্ক।টাইলস দিয়ে রাস্তা করে সেখানে নিরিবিলিতে বসার জায়গা করা হয়েছে।মনে হবে একেবারে দ্বারকা নদের উপরে রয়েছেন।সেখান থেকে মন্দির, শ্মশান ছাড়াও চারিদিকের সৌন্দর্য চাক্ষুষ করা যায়।পার্কটিকে আলোকজ্জ্বল করতে বসানো হয় এলইডি বাতিস্তম্ভ। চারপাশে পাতাবাহার ও রংবেরঙের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
advertisement
দ্বারকার পাড়ের এই সৌন্দর্য এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।বাংলার ১৪৩১ সালে ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার দিন থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে বারাণসীর মতোই দ্বারকা নদের সাজানো পাড়ে শুরু করা হয় আরতি।যা পর্যটকদের কাছে তারাপীঠের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে ৩৬৫ দিন গঙ্গা আরতি হয়ে থাকে। অনেকটা সেই ভাবেই সন্ধ্যায় দ্বারকা নদের তীরে মন্ত্রোচ্চারণ করে আরতি করা হয়।
উত্তরবাহিনী দ্বারকার পাড়ে আরতির পাশাপাশি মন্দির, মহাশ্মশান, তীর্থভূমিতে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে। কিন্তু ক্রমশ দ্বারকা নদের জল কমে আসছে। স্বভাবতই আরতি নিয়ে চিন্তায় মন্দির কমিটি।গত বছর ১৫ ডিসেম্বর তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এর অফিসে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠকে সেই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন তাঁরা। দ্বারকা নদে যাতে সারা বছর জল ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলার জন্য মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করেন জেলাশাসক বিধান রায়। তবে সেই বৈঠকের পর কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।