তাঁত মেশিনের ‘টকটক’ শব্দে এখন উৎসবের সুর। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েও চললেও নিজস্বতা ধরে রেখে তাঁতিরা। তবে এই গল্পে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে কিছু হতাশার সুরও। প্রতিটি শাড়ি তৈরি করতে লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্রম, দক্ষতা ও মনোযোগ। কিন্তু সেই তুলনায় আর্থিকভাবে তাঁতশিল্পীরা আজও রয়ে গিয়েছেন পিছিয়ে। আধুনিক বাজারে দামের সঙ্গে টেক্কা দিতে গিয়ে অনেক সময়ই তাঁরা ঠিকঠাক পারিশ্রমিক পান না। তাই বর্তমানে তাঁত শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাঁতিপাড়ার অনেক শিল্পী।
advertisement
আধুনিক বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাঁত শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সেই উন্নয়নের পথে রঘুনাথপুরের তাঁত শিল্পীরা আজ সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করছেন। তাঁদের বিশ্বাস, যদি সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়ায়, প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, তাহলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
তবু সবকিছু ছাপিয়ে তাঁতিপাড়ার এখনও অনেক শিল্পী আজও তাঁদের পুরানো ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েও তারা ধরে রেখেছেন তাদের নিজস্বতা, যা রঘুনাথপুরের তাঁতকে আজও জেলাজুড়ে খ্যাতি এনে দিচ্ছে।