TRENDING:

Taant Saree: পুরুলিয়ার এই গ্রামে তাঁতের শাড়ির সাম্রাজ্য, কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন? চোখ ধাঁধাতে বাধ্য

Last Updated:

পুরো তাঁতিপাড়া জুড়ে এখন ফুটে উঠছে শারদীয়ার আগমনী বার্তা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের তাঁতিপাড়া! তাঁতের শাড়ির জন্যই বিখ্যাত এই পাড়া। পুজোর আগে এই তাঁতিপাড়ায় উৎসবের আমেজ, শিল্পীদের নিপুণ স্পর্শে জমে উঠছে তাঁতের জগৎ। বছরের সারাটা দিনই এই তাঁতিপাড়ায় তাঁত বুনন চললেও, পুজোর আগে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই শিল্পপল্লি। ভোর থেকে শুরু হয়ে যায় শিল্পীদের ব্যস্ততা। সুতো বাছাই, রং মেশানো, ডিজাইন আঁকা…। প্রতিটি ধাপে মিশে থাকে শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়া আর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। পুরো তাঁতিপাড়া জুড়ে এখন ফুটে উঠছে শারদীয়ার আগমনী বার্তা।
advertisement

তাঁত মেশিনের ‘টকটক’ শব্দে এখন উৎসবের সুর। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েও চললেও নিজস্বতা ধরে রেখে তাঁতিরা। তবে এই গল্পে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে কিছু হতাশার সুরও। প্রতিটি শাড়ি তৈরি করতে লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্রম, দক্ষতা ও মনোযোগ। কিন্তু সেই তুলনায় আর্থিকভাবে তাঁতশিল্পীরা আজও রয়ে গিয়েছেন পিছিয়ে। আধুনিক বাজারে দামের সঙ্গে টেক্কা দিতে গিয়ে অনেক সময়ই তাঁরা ঠিকঠাক পারিশ্রমিক পান না। তাই বর্তমানে তাঁত শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাঁতিপাড়ার অনেক শিল্পী।

advertisement

আধুনিক বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাঁত শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সেই উন্নয়নের পথে রঘুনাথপুরের তাঁত শিল্পীরা আজ সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করছেন। তাঁদের বিশ্বাস, যদি সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়ায়, প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, তাহলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প আরও এগিয়ে যেতে পারবে।

তবু সবকিছু ছাপিয়ে তাঁতিপাড়ার এখনও অনেক শিল্পী আজও তাঁদের পুরানো ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েও তারা ধরে রেখেছেন তাদের নিজস্বতা, যা রঘুনাথপুরের তাঁতকে আজও জেলাজুড়ে খ্যাতি এনে দিচ্ছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Taant Saree: পুরুলিয়ার এই গ্রামে তাঁতের শাড়ির সাম্রাজ্য, কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন? চোখ ধাঁধাতে বাধ্য
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল