চিকেনপক্সের লক্ষণ এক একজনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার নেয়। কারও ক্ষেত্রে আবার অল্পেই সেরে যায়।
আরও পড়ুন: অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ? ফুলশয্যার রাত নিয়ে টেনশন? মিলনে অস্বস্তি? মাথায় রাখুন এই টিপসগুলো
লক্ষণগুলি সাধারণত শিশুদের মধ্যে প্রকট হয়। তবে নবজাতক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্য়েও দেখা যেতে পারে। নীচে চিকেনপক্সের সর্বাধিক প্রচলিত লক্ষণগুলি রইল:
advertisement
উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১-২ দিন আগে মেজাজের পরিবর্তন হয়। পাশাপাশি ক্লান্তি, চুলকানি দেখা যেতে পারে। লাল ফুসকুড়িতে গা ভরে যায়। ঠোঁটের ভিতরে, মুখ, মাথা, কাঁধ, হাতের উপরের অংশ এবং পায়ে ছোট, তরল ফোস্কা তৈরি হয়। জ্বর শুরু হয়। খিদে হ্রাস পায়। অনেক সময় পেশি বা জয়েন্টে ব্য়থা করে। অস্বস্তি, কাশি বা বন্ধ নাক চিকেনপক্সের অন্য়তম লক্ষণ।
আরও পড়ুন: বরফে মোড়া ভূস্বর্গে ঘনিষ্ঠ নববিবাহিত সুরজ-মৌনী, অতুলনীয় নৈসর্গে মুগ্ধ ভ্রমণপিপাসুরা
চিকেনপক্সের টিকা নেওয়া আছে এমন একটি শিশু যদি এর সংস্পর্শে আসে, তবে তার সংক্রমণ কম হয়। তার খুবই কম তীব্র ফুসকুড়ি সামান্য় জ্বর, হালকা অসুস্থতা থাকতে পারে।
বেশিরভাগ শিশুদের মধ্যে, চিকেনপক্সের (Chicken Pox) লক্ষণগুলি সাধারণত এক সপ্তাহ পরে নিজেরাই চলে যায়। সন্তানকে দ্রুত সারাতে এই ঘরোয়া কিছু প্রতিকার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বাচ্চাকে কাঁচা ওটস দিয়ে উষ্ণ গরম জলে স্নান করান। আক্রান্ত স্থানে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করুন। শিশুকে ঢিলেঢালা, বিরক্তিকর নয় এমন পোশাক পরতে হবে। কোনও শিশু কেবল একটি ডায়াপারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারে। নবজাতকরা যেন তাদের ফোস্কাকে কোনওভাবে না আঁচড়ায়।
ফোসকা স্পর্শ করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ এড়াতে শিশুর নখ ঝরঝরে এবং ছোট রাখুন। বাচ্চার লক্ষণ গুরুতর হলে বা চিকেনপক্সের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঝুঁকি বেশি হলে, একজন ডাক্তার একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি।
