যদি সহকর্মীর অস্বস্তিবোধ হয়
অনেকসময়ই এমন হয়, এই কমিউনিটির সহকর্মীরা নিজের সমস্যাগুলো খুলে বলতে পারেন না। এই সময় তাঁদের কাছ থেকে জোর করে কথা বার করা বা পাশে থাকার চেষ্টা না করাই ভাল। তাঁদের সময় দেওয়া উচিত। নিজের সময় হলে, তিনি আপনার কাছে এসে নিজের কথা শেয়ার করবেন। আর প্রথমেই পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন না করাই ভাল, কারণ পরিচয় এক্ষেত্রে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
advertisement
সর্বনাম ব্যবহারের আগে জেনে নেওয়া
ইংরেজিতে কথাবার্তার সময় কোন লিঙ্গের সর্বনাম তাঁর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এ ব্যাপারে নিজে থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সহকর্মীকেই জিজ্ঞাসা করলে সমস্যা কম হবে না এবং উল্টোদিকের মানুষটিও অস্বস্তিতে পড়বেন না। যদি জিজ্ঞাসা না করতে পারেন, তা হলে কিছুদিন দেখে, শুনে বুঝতে হবে কোন লিঙ্গের সর্বনাম ব্যবহারে তিনি বিরক্ত হচ্ছেন না।
আরও পড়ুন : একটা ঝাড়বাতি-ই বদলে দেবে পুজোয় বাড়ির চেহারা ! ঘরে কোনটা মানাবে? কিনবেনই বা কী দেখে?
কথা বলতে হবে
অনেকসময় অফিসের (Work Place) আড্ডা, ইয়ার্কি চলার সময় হোমোফোবিক জোক হয়, সেক্ষেত্রে আপনার সহকর্মী তাতে অস্বস্তিতে পড়তে পারে। এমন হলে যাঁরা এই ধরনের জোক করছেন বা এই বিষয়ে ব্যঙ্গ করছে, তাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন এবং এ বিষয়ে তাদের বোঝানো প্রয়োজন। যদি আপনি এ ক্ষেত্রে চুপ করে থাকেন, তা হলে আপনার প্রতি সহকর্মীর বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে।
অন্যকে এই বিষয়ে বোঝাতে হবে
LGBTQ কমিউনিটির মানুষজনকে কাজে সুস্থ পরিবেশ উপহার দেওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের যোগদান সুনিশ্চিত করতে সকলকে বোঝাতে হবে। জানাতে হবে, তাঁরাও এই সমাজেরই একটা অংশ। তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহারই করতে হবে।
আরও পড়ুন : ত্বকের পরিচর্যাতেও দারুণ মিষ্টি; সঙ্গে থাক চিনির এই ৮ ঘরোয়া স্ক্রাব!
সহকর্মীকে সমর্থন করতে হবে
যত সম্ভব সহকর্মীকে সমর্থন করতে হবে। যেহেতু সমাজে এমনিতেই এই কমিউনিটির মানুষজনের জন্য একাধিক সমস্যা আগে থেকেই তৈরি থাকে, তাই কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
