ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সানস্ক্রিনের ব্যবহার। অনেকেই মনে করেন যে শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বা দীর্ঘ সময়ে রোদ্দুরে থাকলে তখনই সানস্ক্রিন লাগে। আবার অনেকেই জানেন যে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব সময়েই এই লোশন লাগে। জানলেও তাঁরা কিন্তু কাজের বেলা সেটা করেন না। ত্বকের সুরক্ষার জন্য সব সময়েই সানস্ক্রিন লাগানো উচিত এবং দিনের বেলা ছাড়াও অন্যান্য সময়েও লাগানো উচিত।
advertisement
সূর্যের আলোয় আছে ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি বা ইউভি রে। যা ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করা থেকে ক্যানসার অনেক কিছুর জন্য দায়ী হতে পারে। সূর্যকে চোখে দেখা না গেলেও তার রশ্মি কিন্তু অতি সক্রিয়। সানস্ক্রিন লাগানো থাকলে এই ক্ষতি অনেকটাই আটকানো সম্ভব। তাই সব সময় ৩০ বা তার বেশি এসপিএফ যুক্ত ব্রড স্পেকট্রামযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তবে মুখ ছাড়াও আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন গলা , ঘাড়, পিঠ, হাত, কোমর ও পায়ের কিছু অংশও অনাবৃত থাকে। সেখানেও কিন্তু সূর্য রশ্মি ক্ষতি করতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে একটি বডি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন : ত্বকের যত্নে রুপো অসাধারণ, দীপাবলির আগে রুপোর কাঠির ছোয়াঁয় হয়ে উঠুন রজতসুন্দরী
বাইরে বেরবার ১০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এর পর প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। প্রথমে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে এবং তারপর সবশেষে প্রয়োজনীয় মেকআপ করতে হবে। যে কোনও ঋতুতেই এই রুটিন অনুসরণ করলে ত্বকের ক্ষতি হবে না।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এ ও বি আটকে দিতে পারে সানস্ক্রিন। এই দুটি রেখাই কিন্তু ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে বলিরেখা সৃষ্টি করে ও ত্বক বিবর্ণ করে দেয়।
আরও পড়ুন : কল্পবিজ্ঞানের পাতা থেকে বাস্তবে! দুবাইয়ের আকাশে উড়ন্ত গাড়ি!
চিন্তার বিষয় হল সূর্যের আলো চোখে দেখা যায় ও অনুভব করা যায়। কিন্তু সূর্যের এই দুই রশ্মি চোখে দেখাও যায় না এবং অনুভবও করা যায় না। সানবার্ন থেকে অনেক সময় ক্যানসার হতে পারে। মেলানোমা ত্বকের এক রকমের ক্যানসার যা এই দুই রশ্মির প্রভাবে হতে পারে।
নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বলিরেখা, পিগমেন্টেড, শুষ্ক, রুক্ষ ত্বকের সমস্যা দূর হবে।বলিরেখা কম পড়বে এবং স্থিতিস্থাপকতাও দ্রুত হ্রাস পাবে না।