জলপাইগুড়ির নাওয়া পাড়া মোড়ে গেলেই দেখা যায়, এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি ঠেলাগাড়ি। যেখানে বিক্রি হচ্ছে চা, পকোড়া, রুটি, সুস্বাদু ঘুগনি-সহ আরও অনেক কিছু। সে সব খাবার খেতে সন্ধ্যা থেকেই ঢল নামে দোকানের সামনে। কাকলি রায়ের জীবনের গল্পটা এখানেই আর পাঁচজনের থেকে একেবারে আলাদা। বেসরকারি সংস্থার কাজের চাপ এবং মানসিক চাপের জন্য শারীরিক-মানসিকভাবে বিপর্যস্ততা সামলে এখন কাকলি রাস্তার ধারে নিজের ঠেলাগাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে, চা বিক্রি করছে সফল ভাবে,মাথা উচু করে।
advertisement
আরও পড়ুন : এখানেই রয়েছে আর এক ‘বৃন্দাবন মন্দির’! ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন! রইল ঠিকানা
পাশাপাশি সংস্কৃত অনার্স নিয়ে সমান তালে চলছে পড়াশোনাও। এখন কাজের চাপ থাকলেও মানসিক ভাবে কাকলি বেশ খুশি। পারিবারিক সহায়তায় এই ব্যবসা এখন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কাকলির কথায়, “আমি শুধু নিজেকে স্বনির্ভর করতে চেয়েছি, তবে আমার লক্ষ্য আরও বড়। আমি এই দোকান থেকেই কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাকলির একগাল হাসিই তার আত্মবিশ্বাস এবং শক্তির প্রতীক। কাকলি রায়ের এই জীবনযুদ্ধের গল্প আমাদের শেখায় , কঠিন পরিস্থিতি এবং শোষণ সত্ত্বেও নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব, যদি মানসিক দৃঢ়তা এবং স্বনির্ভরতার ইচ্ছা থাকে!