পর্নোগ্রাফি এবং তা দেখার অভ্যাস নিয়ে যে সমাজে একটা ছুঁৎমার্গ আছে, তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষা ঠিক সেই দিক থেকে তাদের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেনি। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে গবেষকরা তুলে এনেছেন দুই পর্নোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম থেকে বিপুল পরিমাণ বিশদ তথ্য। জানা গিয়েছে যে Pornhub এবং Xvideos, এই দুই পর্নোগ্রাফি পোর্টাল থেকে সাকুল্যে ১৩১৭৩৮টি ভিডিও ধরে ধরে, তার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা।
advertisement
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষণাপত্রের লেখক ক্লেয়ার ম্যাগগ্লিন জানিয়েছেন যে এই দুই সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের বেশির ভাগ ভিডিওই যৌন হেনস্তায় প্ররোচণা দেয়। এই সব ভিডিওগুলো সরাসরি ‘Groped’, ‘ Forced Sex’-এর মতো নীতিবিরুদ্ধ এবং আইনবিরুদ্ধ শীর্ষকে মাধ্যমে হোমপেজে সাজানো থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু ভিডিওয় দেখা যায় যে মাদক ব্যবহার করে অন্যের শারীরের সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময়ে আবার শিশুদের যৌন হেনস্তার ভিডিও এই দুই পর্নোগ্রাফি সাইটে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্লেয়ারের বক্তব্য- এত সহজ ভাবে এই ধরনের অপরাধের ভিডিও দেখার ফলে দর্শকদের তা আর নীতিগর্হিত বলে মনে হয় না। বরং তারা ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করে এবং পরিণামে সমাজ ভুক্তভোগী হয়।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষা যত বিশদেই তথ্য জোগাক না কেন, Pornhub এবং Xvideos গবেষকদের এই দাবি অস্বীকার করেছে। Pornhub সাফ জানিয়েছে যে সম্মতিমূলক ব্যভিচার আর অপরাধ এক নয়, এই দুইয়ের মধ্যে তফাত করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। অন্য দিকে, Xvideos-এর দাবি, যে ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন, এই ধরনের ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয় না।