TRENDING:

যুবসমাজের মনে যৌন হেনস্থার রসদ জোগাচ্ছে পর্নোগ্রাফি, দাবি নয়া সমীক্ষার!

Last Updated:

গবেষকরা দাবি করছেন যে যুবসমাজের অন্যকে যৌনতা দ্বারা অপদস্থ বা দমন করার প্রবৃত্তির মূলে আছে পর্নোগ্রাফি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#ডারহাম: জনৈক ব্যক্তি ঠিক কী কারণে আরেকজনকে যৌন হেনস্তার মুখে ফেলেন, সেই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত খুব একটা স্পষ্ট নয়। এর সঙ্গে যৌনতার যোগ যতটা না আছে, তার চেয়েও বেশি করে সম্পৃক্ত রয়েছে মনস্তত্ত্বের জটিল মোচড়। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত গবেষণা চলছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে এবং বর্তমানে দেশেও বেশ কিছু স্তরে মনোবিদরা অপরাধীদের সঙ্গে কথোপকথনের ভিত্তিতে তৈরি করার চেষ্টা করছেন একটি ডেটাবেস যা এই নির্দিষ্ট অপরাধের উৎস সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারবে। তবে সম্প্রতি ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল অধ্যাপক যে গবেষণা পরিচালনা করেছেন, তা অপেক্ষাকৃত সহজ ভাবে যুবসমাজের মধ্যে এ হেন মানসিকতা জন্ম নেওয়ার কারণ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। গবেষকরা দাবি করছেন যে যুবসমাজের অন্যকে যৌনতা দ্বারা অপদস্থ বা দমন করার প্রবৃত্তির মূলে আছে পর্নোগ্রাফি।
advertisement

পর্নোগ্রাফি এবং তা দেখার অভ্যাস নিয়ে যে সমাজে একটা ছুঁৎমার্গ আছে, তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষা ঠিক সেই দিক থেকে তাদের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেনি। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে গবেষকরা তুলে এনেছেন দুই পর্নোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম থেকে বিপুল পরিমাণ বিশদ তথ্য। জানা গিয়েছে যে Pornhub এবং Xvideos, এই দুই পর্নোগ্রাফি পোর্টাল থেকে সাকুল্যে ১৩১৭৩৮টি ভিডিও ধরে ধরে, তার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা।

advertisement

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষণাপত্রের লেখক ক্লেয়ার ম্যাগগ্লিন জানিয়েছেন যে এই দুই সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের বেশির ভাগ ভিডিওই যৌন হেনস্তায় প্ররোচণা দেয়। এই সব ভিডিওগুলো সরাসরি ‘Groped’, ‘ Forced Sex’-এর মতো নীতিবিরুদ্ধ এবং আইনবিরুদ্ধ শীর্ষকে মাধ্যমে হোমপেজে সাজানো থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু ভিডিওয় দেখা যায় যে মাদক ব্যবহার করে অন্যের শারীরের সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময়ে আবার শিশুদের যৌন হেনস্তার ভিডিও এই দুই পর্নোগ্রাফি সাইটে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্লেয়ারের বক্তব্য- এত সহজ ভাবে এই ধরনের অপরাধের ভিডিও দেখার ফলে দর্শকদের তা আর নীতিগর্হিত বলে মনে হয় না। বরং তারা ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করে এবং পরিণামে সমাজ ভুক্তভোগী হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষা যত বিশদেই তথ্য জোগাক না কেন, Pornhub এবং Xvideos গবেষকদের এই দাবি অস্বীকার করেছে। Pornhub সাফ জানিয়েছে যে সম্মতিমূলক ব্যভিচার আর অপরাধ এক নয়, এই দুইয়ের মধ্যে তফাত করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। অন্য দিকে, Xvideos-এর দাবি, যে ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন, এই ধরনের ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয় না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
যুবসমাজের মনে যৌন হেনস্থার রসদ জোগাচ্ছে পর্নোগ্রাফি, দাবি নয়া সমীক্ষার!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল