ডা. পালের মতে, মূলত দিনের বেলাতেই আমাদের শরীরের খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই সেই সময়েই খেতে হবে এবং রাতে অন্ত্র বা গাটকে বিশ্রাম দিতে হবে। এই পন্থা অবলম্বন করলেই মেটাবলিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। তবে চরম পর্যায়ের উপবাসের পক্ষপাতী তিনি নন, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
advertisement
ডা. পাল বলেছেন যে, ‘ইনসুলিন চক্রের সঙ্গে যখন কেউ খেতে শুরু করবেন এবং সূর্যাস্তের পরে আর খাওয়াদাওয়া করবেন না, তখনই চমকপ্রদ ফল মিলবে — এমনকী ওজন পর্যন্ত কমবে।’ তিনি ইনসুলিনের দিনের বেলার কাজ ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যাঙ্কের কাজের সময়কে তুলে ধরেছেন।
প্রথমে দিনের প্রথম এবং শেষ খাবার কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। এমনকী এই হিসেবের ক্ষেত্রে কফি পান এবং দেরি করে স্ন্যাক্স খাওয়ার বিষয়টাকেও ধরতে হবে। যদি সেই ব্যবধানটা ১৪-১৫ ঘণ্টার হয়, তাহলে পরের সপ্তাহে সেটাকে ১২ ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ১০-৮ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা উচিত। পুরো বিষয়টা হবে ধীরে ধীরে। রাতারাতি করা চলবে না।
আরও পড়ুন-অকালে সব শেষ…! ৪২ বছরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কাঁদছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি
ডা. পাল ব্যাখ্যা দিয়ে আরও বলেন যে, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা প্রথম দিকে উচ্চ পর্যায়ে থাকে। আর রাতে খাওয়া হলে ক্যালোরি জমা হতে শুরু করে। রাতে যদি দীর্ঘ সময় না খাওয়া হয়, তাহলে ঘুমের মানও উন্নত হয়। তার পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং ধারাবাহিকতা ও মেজাজও ভাল হয়।
কোনটা করা উচিত নয়? এই প্রসঙ্গে ডা. পাল বলেন যে, প্রথম দিনেই ৮ ঘণ্টার উইন্ডো অবলম্বন করলে চলবে না। সেই সঙ্গে ব্রেকফাস্ট বাদ দেওয়া চলবে না। কারণ এতে পরে অতিরিক্ত খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আর লেট-নাইট ডিনার বা রাতে দেরি করে খাওয়া কিংবা রাতে মিষ্টি খাওয়া চলবে না। এতে রাতের উপোসটা ভেঙে যাবে।
তবে এই ধরনের অভ্যাসের ক্ষেত্রে কাদের সতর্ক থাকতে হবে? সেই বিষয়ে ডা. পালের বক্তব্য, যেসব ডায়াবেটিস রোগী ইনসুলিন অথবা সালফোনাইলিউয়ার উপর রয়েছেন, কিংবা হবু মা বা সদ্যপ্রসূতি এবং ইটিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, এমন রোগীদের মেডিক্যাল গাইডেন্স নেওয়া আবশ্যক। সেক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের শরীর-স্বাস্থ্যের চাহিদা অনুযায়ী পার্সোনালাইজড টাইমিং এবং টার্গেট পেয়ে যাবেন।