প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, “ভোজন অমৃতও, আবার বিষও।” আপনি কীভাবে খাবার গ্রহণ করছেন তার ওপরই সব নির্ভর করছে। যদি ইন্দ্রিয়ের বশে ভারী ও অনিয়মিত খাবার খান, তাহলে কখনও পেট পরিষ্কার হবে না। এতে শুধু শরীরই নয়, মনও অশান্ত হবে।
আরও পড়ুন: অতি সস্তার এই দুই জিনিস দিয়ে তৈরি করুন বিশেষ পেস্ট! জব্দ হবে পায়রিয়া, দূর হবে দাঁতের সব সমস্যা…
advertisement
তাই প্রথম নিয়ম হল—পেটের জায়গার অর্ধেকটা খাবারে ভরুন, তার অর্ধেকটা জলে, আর বাকি অর্ধেক ফাঁকা রাখুন যাতে বাতাস কাজ করতে পারে। সহজ কথায়, যতটা ক্ষুধা ততটা নয়—অল্প কম খান, আর পুষ্টিকর খাবার খান।
পেট পরিষ্কার না হলে কী করবেন
প্রেমানন্দ মহারাজের মতে, সাত্ত্বিক ভোজন করলে স্বাভাবিকভাবেই পেট পরিষ্কার হবে। কিন্তু যদি সমস্যা থেকেই যায়, তবে শাস্ত্রে উল্লেখিত কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে—
ভোরে উঠে আস্তে আস্তে গরম জল পান করুন। নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগ করুন। রাতে গরম জলে ছোট হরিতকির গুঁড়ো মিশিয়ে গরম গরম পান করুন। বিকল্প হিসেবে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জল পান করুন। সকালে শৌচের পর আধা লিটার গরম জল পান করুন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর মশা কি শুধু সকালে কামড়ায়? জানুন কখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ও কীভাবে সতর্ক থাকবেন…
কিন্তু মনে রাখবেন, সাত্ত্বিক খাবার না খেলে এসবের কোনও ফল পাওয়া যাবে না। শাকসবজি বেশি খান, নিয়মিত হাঁটুন, ব্যায়াম করুন।
পেট খারাপ না হওয়ার জন্য মহারাজের নির্দেশ— ভোরে উঠে বজ্রাসনে ১০–১৫ মিনিট বসুন এবং আস্তে আস্তে জল পান করুন। এতে সহজেই পেট পরিষ্কার হবে। ব্যায়ামের পর অঙ্কুরিত শস্য দিয়ে নাশতা করুন। দিনে সাত্ত্বিক আহার করুন, ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। দিনে অন্তত ৩ লিটার জল পান করুন।
যত বেশি জল খাবেন, তত সহজে অন্ত্রে ময়লা জমবে না। মল শক্ত হলে সবসময় কোষ্ঠকাঠিন্য থাকবে। জল বেশি খেলেই পেট পরিষ্কার থাকবে, মন পরিষ্কার থাকবে।