১) এক সঙ্গে রুটিন তৈরি করুন
এক সঙ্গে বসে এমন একটি রুটিন তৈরি করুন যা আপনার সন্তানের জন্য একটা ধরাবাঁধা দিনপঞ্জি তৈরি করবে। এর মধ্যে পড়াশোন, খেলাধুলো থেকে শুরু করে ঘুমনোর সময় পর্যন্ত থাকবে। অতিমারির সময়ে অল্পবয়সীদের জন্য এ রকম একটি কাঠামো খুব প্রয়োজন। এই রুটিনকে নিজের প্রতি দিনের গৃহকর্মের সঙ্গে যুক্ত করে নিন।
advertisement
২) খোলা মনে কথা বলুন
সন্তানদের প্রশ্ন করতে শেখান। তাদের এমন ভাবে বড় করে তুলুন যাতে তারা নিজেদের মনের কথা ভাগ করে নিতে ভয় না পায়। যেহেতু তারা ছোট. তাই তাদের মানসিক চাপ এবং অন্যান্য অনুভূতি প্রদর্শনের পথটা একটু অন্য রকমের হতে পারে। আপনাকে তাই অনেকটা ধৈর্য নিয়ে বিষয়টি দেখতে হবে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, তাদের বোঝান কোন খবরটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে। তারা যখনই কোনও সমস্যায় পড়বে বা কোনও দ্বিধা হবে, যেন সরাসরি আপনার সঙ্গে এসে কথা বলতে পারে।
৩) সময় নিন
তাড়াহুড়ো করে সব কিছু এক সঙ্গে শেখাতে যাবেন না। বরং ছোট ছোট লার্নিং মডিউল রাখুন। অনলাইনের সঙ্গে কিছু অফলাইন কাজও থাকুক, তাতে সুন্দর ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৪) অনলাইনে শিশুরা যেন সুরক্ষিত থাকে
পড়াশোনা করার জন্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য এই মুহূর্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম একটি বড় মাধ্যম। কিন্তু বেশি মাত্রায় অনলাইনে থাকা শিশুদের ব্যক্তিগত পরিসর, সুরক্ষাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। তাই অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদের অনলাইন গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখবেন। অনলাইন ক্লাসের সময় শিক্ষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।
৫) সন্তানের স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
আপনার সন্তান যে স্কুলে পড়ে সেখানকার শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। খোঁজ নিন নতুন নতুন পড়াশোনার উপায় ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। যেহেতু বাড়িতেই এখন পড়াশোনা হচ্ছে তাই শিক্ষক, বাবা-মায়েদের গ্রুপ এবং অন্যান্য গ্রুপে নানা প্রশ্ন করুন, তাদের সহযোগিতা করুন।