এখন এই সবকিছুর উত্তর জানতে বিশেষ কিছু স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক ধরণের খাবারের সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক -
ওমেগা -3 :
এটি আমাদের শরীরে খুবই অপরিহার্য পুষ্টি এবং ভালো চর্বির উৎস হিসাবে কাজ করে। নির্দ্বিধায় আমাদের খাদ্য তালিকায় এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কারণ ওমেগা -3 এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। যেমন -
advertisement
এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খুব বড় ভূমিকা পালন করে থাকে ,
আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ,
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ,
এগুলো হল প্ল্যান্ট বেসড ওমেগা-3 যার মধ্যে রয়েছে আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ, শণ বীজ, এডামেম ইত্যাদি
পর্যাপ্ত প্রোটিন :
একইভাবে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন থকা খুবই জরুরি। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিতভাবে খেলে তা বিভিন্নভাবে আমাদের উপকৃত করে। শরীরে ফ্যাটলেস মাসল বানাতে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে , অপ্রয়োজনীয় লোভ কমাতে এবং টিস্যু তৈরি ও মেরামতের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার অবশ্যই রাখুন যেমন ডিম, মুরগির মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্য ,ক্যালিফোর্নিয়া আখরোট এবং আরো অনেক কিছু যা আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমানে প্রোটিনের অভাব পূর্ণ করে।
স্ন্যাক স্মার্ট:
ব্র্যাকফাস্টের সময় কিংবা সন্ধ্যেবেলায় স্ন্যাক্স খাওয়ার সময় স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার বেছে নিতে ভুলবেন না। সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট এবং QUA নিউট্রিশনের প্রতিষ্ঠাতা রায়ান ফার্নান্দো কথা অনুযায়ী যে সমস্ত স্ন্যাকসগুলিতে চিনি, নুন এবং চর্বি বেশি থাকে সেগুলি বিশেষ করে এড়িয়ে চলুন এবং ফল, সবজি, বাদাম এবং পুরো শস্যজাতীয় স্ন্যাকস খাবারের তালিকায় যোগ করুন। তিনি নিজেও ব্রেকফাস্টে কালো কিশমিশ সহ এক মুঠো ক্যালিফোর্নিয়া আখরোট ব্যবহার করেন এটা শুধু শরীরকে সুস্থই রাখে না ,আপনার মিষ্টির আক্ষাঙ্কাকেও হ্রাস করে।
পরিমান বুঝে খান :
শুধু ভালো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না , খাবারের পরিমানের দিকেও নজর দেওয়াও খুবই জরুরি। অতিমাত্রায় খাওয়া দাওয়া করলে তা আপনার শরীরে স্তুলটা বা ওবেসিটি এবং ডায়াবেটিস সহ আরও বিভিন্ন ধরণের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাবার সঠিক মাত্রায় খান এবং নিজেকে সুস্থ রাখুন।
প্রতিদিন আপনার খাওয়ার প্লেটে সব ধরণের উপাদান সীমিত পরিমানে থাকা উচিত যেমন শাক সবজি, পুরো শস্য , ফ্যাটলেস প্রোটিন ইত্যাদি।
লেবেল পড়ুন :
আমাদের মধ্যে অনেকেই বাজার থেকে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার কিনতে অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখা খুবই প্রয়োজন , সেটি হল বাজার থেকে কোন খাবারের সামগ্রী কেনার সময় অবশ্যই তার লেবেল পরে নেবেন। কারণ ওই সামগ্রী কি কি ধরণের পুষ্টি উপাদানে তৈরি সেটা জানা খুবই জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ওই খাবারে এমন কিছু উপাদান আছে যা অ্যালার্জিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই সজাগ থাকুন এবং সঠিক খাবার বেছে নিন।
নতুন বছরে আপনার এই লক্ষ্যগুলিকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে তা অর্জনের পথে এগোন। কারণ তাড়াতাড়ি কোন কিছুই লাভ করা সম্ভব না। এর জন্য দরকার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা এবং সঠিক জীবনধারা মনে চলা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।