যদিও ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক উপসর্গগুলি চিহ্নিত করতে পারলে জীবনযাত্রায় বদল এবং ওষুধের সাহায্যে লিভারের বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব৷ এইমস, হাভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসক গ্যাসট্রোএনটেরোলজিস্ট সৌরভ শেঠি ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক আটটি উপসর্গ কী কী হতে পারে, তা নিয়ে সতর্কতামূলক একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন৷ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন উপসর্গের কথা বলেছেন ওই চিকিৎসক-
advertisement
১. আচমকা যদি শরীরের ওজন বাড়তে থাকে, তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম লক্ষ্মণ হতে পারে৷ বিশেষত, যদি পেটের চারপাশে মেদ জমতে শুরু করে তাহলে তা লিভারের স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে না পারার উপসর্গ হতে পারে৷
২. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া সত্ত্বেও যদি নিজেকে ক্লান্ত এবং দুর্বল লাগে, সেক্ষেত্রেও তা ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হতে পারে৷ কারণ শরীরে এনার্জি জোগানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকে লিভারের৷ ফলে লিভার ঠিক মতো কাজ না করলে শরীরের এনার্জির ঘাটতি হতে পারে৷
৩. ওই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, পেটে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে যদিও পেটের ডান দিকের উপরের অংশ ফুলে যায় তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের লক্ষ্মণ হতে পারে৷
৪. ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলেও তা ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হতে পারে৷
৫. মল মূত্রের রংয়ে পরিবর্তন লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে৷ যদি প্রস্রাবের রং গাঢ়ো হলুদ এবং মলের রং ফ্যাকাসে হয়ে যায়, তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের লক্ষ্মণ হতে পারে৷
৬. ত্বক এবং চোখের ভিতরে হলদে হয়ে গেলে জন্ডিস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়৷ ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়াবাড়ির দিকে গেলে এরকম হতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
৭. কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে বহু ক্ষেত্রেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও ধরা পড়ে৷ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি লিভারের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়৷
৮. ফ্যাটি লিভারের সমস্যা জটিল আকার নিলে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য লিভার শরীরকে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দিতে পারে না৷ অল্প কেটে বা ছড়ে গেলেই রক্তপাত এবং রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার সমস্যা দেখা দিলে তা ফ্যাটি লিভারের জটিল আকার ধারণেরই ইঙ্গিত বলে সতর্ক করেছেন ওই চিকিৎসক৷
