আরও পড়ুনঃ ভোটার তালিকায় নাম আছে! কিন্তু নাম-ঠিকানার বানান ভুল? ফর্ম ৮-এ সংশোধনের সুযোগ! জানুন পুরো প্রক্রিয়া
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দ্রুত পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা যায় শিশুটির পেটে একটি ধারালো ধাতব বস্তু আটকে রয়েছে। এই বস্তুটি পেটের দেয়াল ফুটো করে দেওয়ার ঝুঁকি থাকায় অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
advertisement
ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে ডা. প্রদীপ্ত কুমার শেঠি বলেন, “শিশুদের ক্ষেত্রে ধারালো বস্তু গিলে ফেলা একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি, এবং দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। কৃষাণুর ক্ষেত্রে ধাতব পিনটি অন্ত্রের দিকে চলে গেলে রক্তক্ষরণ বা পেট ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। তাই আমরা দ্রুত জরুরি এন্ডোস্কোপি করার সিদ্ধান্ত নিই এবং কোনও অস্ত্রোপচার ছাড়াই পিনটি নিরাপদে বের করি। আমাদের টিমের সমন্বয় ও অভিজ্ঞতার জন্য এই প্রক্রিয়া সফল হয়েছে এবং শিশুটির সুস্থতা দ্রুত হয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে শিশুদের ক্ষেত্রে সময়মত চিকিৎসা এবং অভিভাবকদের সতর্কতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
উন্নত এন্ডোস্কোপিক যন্ত্রের সাহায্যে ডা. প্রদীপ্ত কুমার শেঠি তাঁর বিশেষজ্ঞ দল — ডা. প্রশান্ত দেবনাথ, কনসালট্যান্ট – মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ডা. রাহুল সামন্ত, কনসালট্যান্ট – মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং ডা. প্রশান্ত কুমার, কনসালট্যান্ট – মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি — শিশুটির শরীরের ভিতরে কোনও আঘাত ছাড়াই পিনটি বের করেন। প্রক্রিয়ার পর ডা. নিকোলা জুডিথ ফ্লিন, হেড – পেডিয়াট্রিক্স ও নিউনাটোলজি, মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাস এবং তাঁর টিম শিশুটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখেন। চিকিৎসার পর কৃষাণুর অবস্থার উন্নতি হয় এবং পরে তাকে স্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে কৃষাণুর বাবা বলেন, “ডা. শেঠি এবং মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাসের পুরো টিমের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর মুহূর্ত থেকেই তাঁরা অত্যন্ত যত্ন ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছেন। আমাদের ছেলেকে কষ্টে দেখে আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যদি পিনটি ভিতরে মারাত্মক ক্ষতি করত, সেই চিন্তাই আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল। তাঁদের দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং দক্ষ চিকিৎসার জন্য আজ আমাদের ছেলে নিরাপদে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আমরা তাঁদের যথেষ্ট ধন্যবাদ দিতে পারছি না।”
এই ঘটনার মাধ্যমে মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাস আবারও প্রমাণ করেছে যে শিশুদের জরুরি চিকিৎসা, আধুনিক এন্ডোস্কোপিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে দ্রুত সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ও সফল চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব।
