মিষ্টির কথা উঠলে কালাকাঁদের প্রসঙ্গ কোনও মতেই বাদ দেওয়া যাবে না। রামপুরে যেমন তিনটি সুস্বাদু ধরনের কালাকাঁদ এখন একই দোকানে পাওয়া যায়: স্থানীয় কালাকাঁদ, কেসর কালাকাঁদ এবং শাহি কালাকাঁদ। বিশেষ বিষয় হল, তিনটির রেসিপি সরাসরি রাজস্থানের আলওয়ার থেকে আনা হয়েছে, যা তার শাহি কালাকাঁদের জন্য বিখ্যাত। সেখানকার কারিগররা আলওয়ার থেকে এই পদ্ধতিটি শিখেছেন, যাতে রামপুরে মানুষ একই খাঁটি স্বাদ উপভোগ করতে পারেন।
advertisement
স্থানীয় কালাকাঁদের দাম প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, কেশর কালাকাঁদ ৫২০ টাকা প্রতি কেজি এবং শাহি কালাকাঁদ ৫৪০ টাকা প্রতি কেজি। তিনটি তৈরিতেই বিশুদ্ধ দুধ ব্যবহার করা হয়, যা পরাগ এবং মাদার ডেয়ারি থেকে আনা হয়। দুধের গুণমান এবং স্বাদ নিয়ে কোনও আপোস করা হয় নায়, যাতে মিষ্টির স্বাদ খাঁটি এবং বিশুদ্ধ থাকে।
আরও পড়ুন : নিমেষে বানান লাড্ডু! ব্লাড সুগারের রোগীরাও খান নিশ্চিন্তে! রইল রেসিপি
আলওয়ারের বাসিন্দা রমেশ ভার্গব ব্যাখ্যা করেন যে, তিনি রামপুরে ডাকঘরের সামনে একটি ছোট দোকান খুলেছেন এবং এখানে আলওয়ারের বিখ্যাত কালাকাঁদ তৈরি করছেন। তাঁরা দুধ ফোটানোর জন্য একটি বিশেষ লোহার প্যান ব্যবহার করেন। এই প্যানটি দুধ আটকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে, এর স্বাদ বাড়ায়। কম আঁচে দুধ ঘন করা হয়, তারপর দেশি কন্দ (স্থানীয় চিনি) যোগ করা হয়। শাহি কালাকাঁদে বিশেষ ময়দা ব্যবহার করা হয়, যার দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা। কেশর কালাকাঁদে খাঁটি জাফরান মিশ্রিত করা হয়, যা এর রঙ এবং সুগন্ধ উভয়ই বাড়ায়।
তিনটি কালাকাঁদেরই নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে। স্থানীয় কালাকাঁদ তৈরি করতে সহজ কিন্তু অত্যন্ত সুস্বাদু। শাহি কালাকাঁদের স্বাদ ক্রিমি এবং ভারী, অন্য দিকে, কেশর কালাকাঁদের সুবাস পুরো দোকান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তিনটিরই মুখে গলে যাওয়া স্বাদ সকলকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করে। উৎসবের মরশুমে চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক গ্রাহক তাজা, খাঁটি কালাকাঁদ খেতে আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রাখেন। দোকানদার ব্যাখ্যা করেন যে, “আমাদের লক্ষ্য হল এখানে বসেই মানুষকে আলওয়ারের আসল স্বাদ উপভোগ করানো।”
