প্রথমেই বলে রাখি, স্পার্কলিং ওয়াটার হল বুদবুদযুক্ত এক ধরনের পানীয়। মূলত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের সঙ্গে ইনফিউজ করে এটি বানানো হয়ে থাকে। সাধারণ জলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস মেশানোর ফলে কার্বোনেশন ঘটে। বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নেওয়া যায়। সাধারণ জল দিয়েই প্রথমে শুরু করা যেতে পারে। পরে ধীরে ধীরে সাধারণ জলের পরিবর্তে ফিল্টার করা বা পরিশ্রুত জল ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
স্পার্কলিং ওয়াটার কি আমাদের জন্য ভাল?
আসলে স্পার্কলিং ওয়াটার দুর্দান্ত বিকল্প। কারণ এটা ক্যালোরি-ফ্রি এবং শরীরকে অনেকক্ষণ হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক। যাঁরা সোডা অথবা ডায়েট সোডা পান করেন, তাঁরা ওই দুই পানীয়ের বদলে স্পার্কলিং ওয়াটার খেলে উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন- আইসক্রিম পিৎজ্জা থেকে রক, ফ্লোট! এই গ্রীষ্ম মধুর হবে স্বাদের শীতল অভিনব স্বাদে
স্পার্কলিং ওয়াটারের উপকারিতা:
হজমশক্তি বৃদ্ধি:
স্পার্কলিং ওয়াটার হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অন্যান্য পানীয়ের তুলনায় এই পানীয় খাওয়ার জন্য স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে। অন্য একটি গবেষণায় আবার দেখা গিয়েছে, কার্বোনেটেড ওয়াটার ঢেকুরের ক্ষেত্রে স্বস্তি দিতেও সহায়ক।
ফসফরাস-বিহীন:
সোডার প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফসফরাস। এটা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান। তবে স্পার্কলিং ওয়াটারে সোডা থাকে না বলে তা শরীরের পক্ষে উপকারী।
ওজন কমাতে সহায়ক:
কার্বোনেটেড স্পার্কলিং ওয়াটার কিন্তু ওজন কমাতেও দারুণ কার্যকর। অনেকেই জানেন না যে, খাওয়ার পরে স্পার্কলিং ওয়াটার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। যেটা সাধারণ জলের ক্ষেত্রে হয় না।
ক্যাভিটি রোধ করতে সহায়ক:
সোডায় অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি থাকে। যা আমাদের দাঁত, মাড়ির ক্ষতি করে। ক্যাভিটি হতে থাকে। তবে স্পার্কলিং ওয়াটারে মিষ্টি বা চিনি থাকে না। যা ক্যাভিটির ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন