কাজ নেই মৃৎশিল্পীদের, স্মৃতির তালিকায় উঠতে চলেছে ছাঁচের লক্ষী গণেশ
পয়লা বৈশাখে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি গাওয়া হয় বলে অনেকে একে নববর্ষের গান বলে মনে করেন। কিন্তু আসলে , গানটি শুধু পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে লেখা হয়নি। এটা মূলত বৈশাখের গান। বলা যায় বছরের প্রথম মাসের ঋতুবন্দনা করে রবিঠাকুর এটি রচনা করেছিলেন। এ গানের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির মধ্যে মানুষের মননের যে যোগাযোগ বা মিলন, তা তিনি প্রকাশ করেছেন।
advertisement
বৈশাখের বন্দনা করে রবিঠাকুর আরও অনেক গান লিখেছিলেন, তবে কেন এসো হে বৈশাখই হয়ে উঠল পয়লা বৈশাখের গান? এর শুরুটা একেবারেই ওপার বাংলা থেকে ৷ ‘ছায়ানট সঙ্গীত ভবন’ -এর তরফ থেকেই প্রথম বাংলাদেশে আয়োজন হয়েছিল পয়লা বৈশাখের৷ শুরু হয়েছিল প্রভাত ফেরির অনুষ্ঠানও ৷ আর সেই অনুষ্ঠানেই প্রথমবার গাওয়া হয়েছিল এসো হে বৈশাখ ৷ তারপর থেকেই এপার বাংলা ও ওপার বাংলায় জনপ্রিয় হতে শুরু করে রবি ঠাকুরের এই গানটি ৷
রবি ঠাকুরের এ গানে পুরনো বছরের দুঃখ-বেদনা, জরাজীর্ণতা, হিসাব-নিকাশ বাদ দিয়ে জীবনযাত্রাকে নতুন করে সাজাতে বলা হয়েছে। তাই গানটি বাঙালি জীবনধারা ও পয়লা বৈশাখের সঙ্গে মিশে গিয়েছে ।