আসলে তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে ফুসফুস, কোলোরেক্টাল, স্তন, গলা, সার্ভিক্যাল, ব্লাডার, মুখ এবং খাদ্যনালির ক্যানসার হতে পারে। তাই জীবনযাত্রায় নির্দিষ্ট কিছু পরিবর্তন আনলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, তামাকজাত দ্রব্য সেবন করার ফলে শুধু নিজেরই নয়, আশপাশের মানুষগুলোরও ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: পিঠে ব্যথায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে? জানুন এখনই কীভাবে রেহাই পাবেন
advertisement
আসলে তাঁরা সেকেন্ড-হ্যান্ড ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবেই ধূমপান করতে হচ্ছে তাঁদের। যার জেরে তাঁদের ফুসফুসের ক্যানসার এবং শ্বাসজনিত সমস্যার আশঙ্কা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাক সেবনের কারণে প্রতি বছর গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয় প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের। এর মধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় প্রত্যক্ষ ধূমপানের কারণে। আর প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ মারা যান পরোক্ষ ধূমপানের জেরে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল। কিন্তু এই নেশা ত্যাগ করা ততটাও সহজ নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে। আবার অনেকেই ধোঁয়াহীন তামাক সেবন করেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। আজ কয়েকটা উপায় বলব, যার মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: জাদুকরের টুপি থেকে খরগোশ বের করতে পারলে আপনি জিনিয়াস, সময় ১০ সেকেন্ড! পারবেন?
ওয়ার্ক আউট:
ধূমপানের নেশা কাটানোর ক্ষেত্রে শারীরিক কসরত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে ধূমপানের ইচ্ছা জাগলেও এক্সারসাইজ করার কারণে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ট্রিগার থেকে দূরে:
এমন জায়গায় যাওয়া বন্ধ করতে হবে, যা ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। যেমন পার্টি কিংবা বারে যাওয়া চলবে না। আসলে এইসব জায়গায় গেলে ধূমপানের ইচ্ছা চাগাড় দিয়ে উঠতে পারে।
মানসিক চাপ কাটানোর উপায় বদল:
অনেকেই মানসিক চাপ কাটাতে ধূমপান করেন। এই অভ্যাস বদলানোর জন্য কৌশলটাকেই বদলে ফেলতে হবে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ডিপ ব্রিদিং, যোগাভ্যাস, গান শোনার মতো অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
উপকারিতা-সুবিধার কথা চিন্তাভাবনা:
বারবার যখন ধূমপান করার ইচ্ছা জাগবে, তখন ধূমপান ছাড়ার উপকারিতার কথাগুলি মনে করতে হবে।
পরিবারের উপর নির্ভরশীলতা:
এই বিষষয়টা ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। ধূমপানের ইচ্ছা জাগলে পরিবারের কারওর সঙ্গে গল্প করে সেই ইচ্ছাটাকে দমন করা যেতে পারে।