তিব্বতি মাখনের চা, যা পো চা নামেও পরিচিত, এটি একটি অত্যন্ত অনন্য চা রেসিপি। এটি একটি নোনা চা , এই চা সাধারণত চা পাতি, বেকিং সোডা এবং লবণ দিয়ে সেদ্ধ করা হয়, এবং পরে এতে একটি বড় মাখনের টুকরা যোগ করা হয়। এই মাখনটি বিশেষভাবে চোঙের মতো দেখতে কাঠের সিলিন্ডারে ভালোমতো নাড়িয়ে চাড়িয়ে মেশানো হয় এবং এর মধ্যে সাধারণত ইয়াকের দুধ ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, ইয়াকের দুধ ও মাখনের সংমিশ্রণ উচ্চ হিমালয়ের তীব্র শীতে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে গরম রাখে। ভ্রমণ প্রেমীদের মতে লাদাখে সবচেয়ে ভাল এই মাখনচা পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- এই ‘ফল’ আর ‘জল’ কখনওই নিয়ে উঠতে পারবেন না প্লেনে! কেন বলুন তো? আসল কারণ ক’জন জানেন?
আরও পড়ুন- মনমোহনের ‘গুণী’ ৩ কন্যাকে চেনেন? বাবার চেয়ে কম নন কেউ! কী করেন তাঁরা? জানলে চমকাবেন
তবে যদি লাদাখে যাওয়ার সুযোগ না থাকে তাহলেও চিন্তা নেই কারন আপনি খুব সহজে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই টিবেটিয়ান চা। এর জন্য আপনাকে খুবই সহজ একটি রেসিপিটি অনুসরণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে পাহাড়ের এক স্থানীয় বাসিন্দা টেবুং শেরপা বলেন এই চা বুদ্ধিস্টরা খুব পছন্দ করে। এই যার জন্য বেশি কিছু করতে হয় না শুধু চা-পাতা কে গরম জলে ভালোমতো বয়েল করে গাঢ় রং আসলেই তারপর একটি কাঠের চোঙ বা সিলিন্ডারের মধ্যে সেই চা ঢেলে তার ওপর লবণ দুধ এবং বাটার দিয়ে ভালোমতো নাড়িয়ে নাড়িয়ে মেশাতে হবে তারপরে এটি একটি তরল তেলের আকার ধারণ করবে। এই চায়ের স্বাদ ভিন্ন হলেও এটি খেতে এ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী।
অনেক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঠান্ডার সময় এই চা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে, এবং শরীরের ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং ঠোঁটফাটা জনিত সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। সেই অর্থেই উপহারের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় বিশেষ করে লাদাখ এবং তিব্বতি এলাকায় এই চায়ের প্রচলন খুব বেশি। আপনি চাইলে শৈলশহর দার্জিলিংয়েও এই চায়ের স্বাদ নিতে পারেন।
সুজয় ঘোষ