নাম শুনে নিশ্চয়ই বিষয়টা কিছুটা হলেও আঁচ করা যাচ্ছে। স্কিনকেয়ার প্রফেশনালদের মতে, স্কিন রেস্টিং হল স্কিনকেয়ার বা ত্বক পরিচর্যার রুটিনের এমন একটি পর্যায়, যেখানে সমস্ত অ্যাক্টিভ এবং সম্ভাব্য সমস্যার উদ্রেককারী উপাদানের ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়। তার পরিবর্তে বরং জেন্টল, নারিশিং উপাদানের উপর অনেকেই মনোনিবেশ করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল- মাইল্ড ক্লিনজার, হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন।
advertisement
বিষয়টা ব্যাখ্যা করে Radiantt Esthetics-এর কসমেটোলজিস্ট ডা. দেবাশিস বিশ্বাস বলেন যে, “যখন কেউ কোনও এক্সফোলিয়েটিং অথবা ডিপ ক্লিনজিং ধরনের উপাদান বিশিষ্ট প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন না, বরং জেন্টল ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন এবং ক্লিনজার ব্যবহার করছেন, তখন সেই পর্যায়কে ‘স্কিন রেস্টিং’ বলে ডাকা যেতে পারে।”
এখানেই শেষ নয়, স্কিন রেস্টিং-এর এই ধারণাটি ২০২৫-এ সবথেকে বেশি প্রচলিত, সেই বিষয়টাও তুলে ধরলেন ডা. বিশ্বাস। আসলে এই বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক কারণ বহু মানুষ দিনের বেলার এবং রাতের বেলার স্কিনকেয়ার রুটিনের ক্ষেত্রে রেটিনল, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এবং স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানেরই বেশি ভরসা করছেন।
আরও পড়ুন : সকালে খালি পেটে খান ১ চামচ এই দানা! ব্লাড প্রেশারের বংশনাশ! কোলেস্টেরল কুপোকাত! ডায়াবেটিসের দফারফা!
তাঁর কথায়, “আমরা শক্তিশালী উপাদান বিশিষ্ট সিরাম প্রতিদিন ব্যবহার করছি। সেই কারণে এটি এমন একটি পর্যায়, যেখানে ত্বক সম্পূর্ণ রূপে নিউট্রালাইজড হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন যে, “আমরা সাধারণত আমাদের রোগীদের যে কোনও রকম অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস অথবা শক্তিশালী উপাদান ব্যবহার করতে নিষেধ করে থাকি। এই সমস্ত উপাদানের মধ্যে অন্যতম হল অ্যাসিডিক অ্যাসিড. রেটিনল, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড এবং আরও নানা কিছু। এর পরিবর্তে আমরা ত্বককে প্রাথমিক উপাদানের উপর রাখারই পরামর্শ দিয়ে থাকে। যেমন – ক্লিনজিংয়ের জন্য অ্যাসিটাইল অ্যালকোহল, ময়েশ্চারিংয়ের জন্য পেপটাইড ও সেরামাইড এবং ব্রড-স্পেকট্রামের মতো প্রাথমিক উপাদান।”
ডক্টর বিশ্বাস
স্কিন রেস্টিংয়ের অর্থ হল ত্বককে ভারী প্রসাধন থেকে বিরতি দেওয়া। আসলে এই সময় বা এই পর্যায়ে ত্বককে সুস্থ রাখার সময় দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ন্যাচারাল ব্যারিয়ার হিসেবে ত্বককে রিব্যালেন্সও করা হয়। এখানেই শেষ নয়, শক্তিশালী উপাদানবিশিষ্ট প্রোডাক্ট অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট সংবেদনশীলতা এবং প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে স্কিন রেস্টিং। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে এই প্রক্রিয়াটি একপ্রকার ‘রিসেট’ বাটন হিসেবে কাজ করে। কারণ ত্বকে যখন প্রদাহ কিংবা জ্বালা শুরুর উপসর্গ দেখা দেয়, তখন এই ভাবে ত্বকের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের ত্বকের অবস্থা এবং রোজকার রুটিনের তীব্রতার উপর নির্ভর করে ২ সপ্তাহের মধ্যে কয়েক দিন স্কিন রেস্টিংয়ের পর্যায়টি ত্বক পরিচর্যার রুটিনে যোগ করতে হবে।