Bad Cholesterol: সকালে খালি পেটে খান ১ চামচ এই দানা! ব্লাড প্রেশারের বংশনাশ! কোলেস্টেরল কুপোকাত! ডায়াবেটিসের দফারফা!

কুমড়ো কাটার সময় এর বীজ ফেলে দেওয়াই দস্তুর৷ কেউ কেউ হয়তো সেগুলি রেখে দেন চারাগাছের জন্মের জন্য৷ বিছিয়ে দেন টবের মাটি বা জমিতে৷ খুব কম জনই কুমড়োর বীজ রোদে শুকিয়ে তার পর খান৷ আমরা জানিই না এই বীজ খাওয়ার উপকারিতা কত৷ নামমাত্র খরচে সুস্থতার চাবিকাঠি এই দানা৷

কুমড়োর বীজ ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির সমৃদ্ধ উৎস, যা ছোট আকারে এগুলিকে সত্যিকারের সুপারফুড করে তোলে। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে ১ চা চামচ এই সুপারফুড খাওয়া মানবদেহের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা৷

কুমড়োর বীজগুলি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এই বীজগুলির মধ্যে মুষ্টিমেয় প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, ৩৭% RDI ম্যাগনেসিয়াম, ১.৭ গ্রাম ফাইবার রয়েছে এবং ভিটামিন ই এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ যা প্রদাহ এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এগুলি অসম্পৃক্ত চর্বির একটি ভালো উৎস, যা হৃদরোগের সুস্বাস্থ্যকে বজায় রাখে, প্রদাহ কমায় এবং সুস্থ কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলিতে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ এর মতো স্বাস্থ্যকর চর্বিও থাকে, যা ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায়। এগুলিতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে যা রক্তনালী এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।

কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা সেরোটোনিন (মেজাজ বৃদ্ধিকারী) এবং মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) তৈরি করতে সাহায্য করে। সমৃদ্ধ ম্যাগনেসিয়াম উপাদান স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে এবং আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।

এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এই বীজে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা উভয়ই রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের উপাদান হজম প্রক্রিয়া এবং রক্তে গ্লুকোজের নিঃসরণকে ধীর করে দেয়, যা বৃদ্ধি রোধ করে। এবং কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার মাত্রা তীব্র বৃদ্ধি করে না, যা ডায়াবেটিস-বান্ধব করে তোলে।

কুমড়োর দানায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক কোষের কার্যকারিতা এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অত্যাবশ্যক। এগুলিতে ঠান্ডা লাগার সময়কাল এবং তীব্রতা কমাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই-এর মতো উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগগুলি রোগ প্রতিরোধক কোষগুলিকে ক্ষতি এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ত্বকের নিরাময় বৃদ্ধি করে, ব্রণ কমায় এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী করে। কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, বার্ধক্যের লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।

কুমড়োর বীজ কাঁচা বা ভাজা খেতে পারেন, অথবা স্যালাডে ক্রাঞ্চ হিসেবে যোগ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের জন্য গ্রিক দই, রাতের ওটস বা পোরিজের সাথে কুমড়োর বীজ মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। আপনি অন্যান্য বাদাম এবং বীজের সাথে টিফিন হিসেবেও এগুলি খেতে পারেন। এবং যদি আপনি স্মুদি প্রেমী হন, তাহলে আপনার স্মুদি বা প্রোটিন শেকে এক চামচ কুমড়োর বীজ মিশিয়ে নিন। পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য ঘরে তৈরি রুটি, গ্রানোলা বার, মাফিন বা এনার্জি বাইটসে কুমড়োর বীজ যোগ করাও একটি ভালো ধারণা।