অনেকেই হয় তো খেয়াল করেছেন, ঠান্ডা বা গরমের দেশে বেড়াতে গেলে ত্বকে একটা পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে মুখে। এটা আর্দ্রতার কারণে হয়। শরীরের বাকি অংশের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি সূক্ষ এবং সংবেদনশীল। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন মুখের ত্বকে সবার প্রথম ধরা পড়ে। আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘাম হয়। এতে ত্বক তৈলাক্ত এবং আঠালো হয়ে ওঠে। এমন আবহাওয়ায় ত্বকে ব্রণ, পিম্পলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে কম আর্দ্রতায় ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। তবে আর্দ্রতার মাত্রা ওঠানামা করলেও কীভাবে ত্বককে সতেজ, সুন্দর এবং উজ্জ্বল রাখা যায় সেই নিয়ে এখানে আলোচনা করা হল।
advertisement
ত্বকের ধরন বুঝতে হবে: নিজের ত্বকের ধরন বুঝতে হবে।তাহলেই গুরুতর আবহাওয়ায় কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বাজারে হাজার রকমের প্রোডাক্ট আছে। কিন্তু ত্বক অনুযায়ী সঠিক পণ্য বেছে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলেই আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বককে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে: তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বক হলে উচ্চ আর্দ্রতায় তা আরও খারাপ হবে। ব্রণ, পিম্পল থেকে লাল ফুসকুড়ি, কোনওটাই অসম্ভব নয়। এসব এড়াতে একটা ত্বকচর্চার রুটিন মেনে চলতে হবে। প্রতিদিন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে যা নন-কমেডোজেনিক। ব্রণ-প্রবণ ত্বক হলে স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং বেনজয়েল পারক্সাইড দিয়ে ডিজাইন করা ক্লিনজার ব্যবহার করলে ভালো ফল মেলে।
আরও পড়ুন - Murshidabad News: টাকা চুরির পর বৃদ্ধ হেডমাস্টারের অনুরোধে ২০০ টাকা কেন রাখল চোর, সিনেমাকেও হার মানায় গল্প
ত্বক যেন হাইড্রেটেড থাকে: ত্বককে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। তাই আর্দ্রতা কম হলেও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। জল বা জেল ভিত্তিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঘামের পর স্নান: ঘাম হলে ত্বকের ছিদ্রগুলিতে ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া জমা হয়। এতে ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যা হতে পারে। এ থেকে বাঁচতে ঘাম হলেই স্নান করে নেওয়া উচিত। এতে ত্বকও পরিষ্কার থাকবে।
সানস্ক্রিন: আবহাওয়ার অবস্থা নির্বিশেষে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। এটা আর্দ্রতার সঙ্গে মোকাবিলার পাশাপাশি বিপজ্জনক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। তাই রোদে বেরোলে বা সাঁতার কাটতে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এজন্য এমন সানস্ক্রিন বাছতে হবে যা ত্বকের ধরণের জন্য উপযুক্ত এবং সর্বাধিক সুবিধে দেয়।