ওয়াক্সিংয়ের আগে ত্বককে প্রস্তুত করতে হবে: ওয়াক্সিংয়ের আগে ত্বকের পিছনে কিছুটা সময় দিতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। ভিজে তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে গা-হাত-পা। এতে ত্বকের উপরিভাগে যে ঘাম বা নোংরা থাকে সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। না হলে ব্যথা লাগবে। প্রি-ওয়াক্স ক্রিম বা জেলও লাগিয়ে নেওয়া যায়। এটা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে। ওয়াক্সিংয়ের আগে গায়ে প্রচুর ট্যালকম পাউডারও দেওয়া যায়। এতে ওয়াক্সিং করতে সুবিধে হয়। ব্যথা কম লাগে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাত্র ৭ দিন বাকি! ঘরোয়া প্রতিকারেই পুজোর আগে গায়েব মুখের কালো দাগ, জানুন কীভাবে
বেশি নয় অল্প: ওয়াক্সিংয়ের সময় ত্বকের সর্বত্র যাতে ওয়াক্সের পাতলা স্তর থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বেশি দেওয়ার দরকার নেই। ওয়াক্সের স্তর পাতলা থাকলে অল্প টানলেই অবাঞ্ছিত লোম উঠে আসবে। বেশি হয়ে গেলে ত্বকে মোমের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। তাছাড়া লোমও অমসৃণভাবে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
সঠিক তাপমাত্রায় তরল ওয়াক্স: ওয়াক্সিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, বডি ওয়াক্সকে সঠিক তাপমাত্রায় নিয়ে যাওয়া। না হলে লোম ঠিকভাবে তোলা যাবে না। বডি ওয়াক্স খুব গরম হয়ে গেলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আবার কম গরম হলে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকবে না। তাই সঠিক তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ।
কাটাছড়ায় ওয়াক্স নয়: শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা কোনও ক্ষত থাকলে সেখানে বডি ওয়াক্স না লাগানোই উচিত। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ক্ষত নিরাময়ের পর ওয়াক্স করাই সবচেয়ে ভাল। একান্তই তা সম্ভব না হলে, ক্ষতস্থানের আশেপাশে ওয়াক্স লাগানো এড়িয়ে যেতে হবে।
ওয়াক্সিং করতে হবে দ্রুত: ধীরে ধীরে নয়। ওয়াক্স তুলতে হবে দ্রুত। ওয়াক্স ধীরে ধীরে তুললে ব্যথা বেশি হবে। তাছাড়া সর্বত্র সমান চাপও পড়বে না। তাই দ্রুত এবং কার্যকরভাবে টানতে হবে। এতে ব্যথা কম হবে। শরীরের লোমও সঠিকভাবে তোলা যাবে।