বর্ষায় ত্বকের সংক্রমণ না কি একজিমা, বোঝা যাবে কী করে: একজিমা নাকি ত্বকের সংক্রমণ, নির্ধারণ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল, লক্ষণ পরীক্ষা করা। একজিমায় ত্বক লাল হয়ে যায়। সঙ্গে থাকা জ্বালাভাব এবং চুলকানি। অনেক সময় ত্বকে খোসাও উঠতে পারে। অন্য দিকে, বর্ষার সংক্রমণে লাল এবং ফোলাভাব থাকে। চুলকানি হয় সঙ্গে হালকা ফুসকুড়ি। ভাইরাল স্কিন ইনফেকশনের ফলে বেদনাদায়ক ফোস্কাও হতে পারে। সামগ্রিকভাবে এটা বলা যেতে পারে যে যদি একজন ব্যক্তির ত্বক জুড়ে কমলা বা হলুদ রঙের ক্রাস্ট, পুঁজ ভরা ফোস্কা, ফোলা দাগ বা লাল দাগ ছড়িয়ে পড়ে, তবে খুব সম্ভবত সেটা সংক্রমণের জন্য হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Maggi Recipes: কে বলল ম্যাগি স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, বানানোর ম্যাজিকেই হবে স্বাদে-স্বাস্থ্যে ভরপুর
আরেকটা লক্ষণ হল, জ্বর হয়েছে কি না দেখা: যখন গোটা গায়ে ফুসকুড়ি বের হয় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্বরও আসে। এটা সংক্রমণের কারণেই হয়। অবিলম্বে এর চিকিৎসা প্রয়োজন। অন্য দিকে, একজিমার নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। কারও একজিমা হওয়ার পরেও যদি ফুসকুড়ি হয় তাহলে ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। কারণ একজিমা সংক্রমণকে বাড়িয়ে দেয়।
একজিমার মতো লক্ষণ হলেও একজিমা নয়: বর্ষায় ত্বকে অনেক রকম সংক্রমণ হয়। এগুলোর লক্ষণ একজিমার মতো হলেও সেগুলো একজিমা নয়।
স্ক্যাবিস: এটা ছোঁয়াচে রোগ। ছোট ছোট পোকা চামড়ার উপরের স্তরে প্রবেশ করে এবং ডিম পাড়ে। এতে ফুসকুড়ি হয়, সঙ্গে অসহ্য চুলকানি।
আরও পড়ুন - Kishore Kumar: কিশোর কুমার স্মরণ অনুষ্ঠান, আলাদা আলাদা সময়ে হাজির সুকান্ত-শুভেন্দু
সোরিয়াসিস: একজিমা এবং সোরিয়াসিস উভয়েরই শুষ্ক, ফাটা ত্বক, চুলকানি এবং খসখসে, লাল দাগের মতো একই লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু একজিমার ক্ষেত্রে প্যাচগুলো পাতলা হয় এবং অনেক সময় প্যাচ থেকে তরলও বের হয়।
আমবাত: ছোট বা বড় বড় ফুসকুড়ির মতো হয়। চুলকানি একজিমার মতোই, আমবাত একদিনের মধ্যে চলে যেতে পারে কিংবা কয়েকদিন বা সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। তবে আমবাত হলে চোখের পাতা, ঠোঁট এবং গলা ফুলে যেতে পারে।