বেশিরভাগ কর্মীই স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগে ভুগছেন। কোমরের চারপাশে মেদ জমে ভুঁড়ি হয়ে যাচ্ছে। হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ছে। তবে শুধু ওয়ার্ক ফ্রম হোম নয়, একটানা এক জায়গায় বসে কাজ করলেই এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ উনত্রিশেই ১০০০ পূরণ করবে যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিন, দিনভর কীভাবে হবে উদযাপন? জানুন
advertisement
গবেষণা কী বলছে: শারীরিক কার্যকলাপ এবং এক জায়গায় বসে কাজ, এই দুটি বিষয়ের উপর প্রায় ১৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা দিনে আট ঘণ্টারও বেশি এক জায়গায় বসে থাকেন তাঁদের একাধিক রোগের সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এক মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালিয়ে এও দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭৫ মিনিট ব্যায়াম এক জায়গায় বসে কাজের নেতিবাচক পরিণতিগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে।
এক জায়গায় বসার বদলে ঘোরাঘুরি বা দাঁড়িয়ে কাজ: বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার কারণে ক্যানসার বা হৃদরোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই নড়াচড়া করার কথা বলা হয়। পাঁচ মিনিট কাজের পর একটু ঘোরাঘুরি করা, দাঁড়ানো খুব কাজে আসে। বসার বদলে যদি দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। কাজের ফাঁকে হাঁটার জন্য সামান্য সময় বের করতে পারলেও স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
এই টিপসগুলো কাজে লাগতে পারে:
ক) আধ ঘণ্টা অন্তর হাঁটাহাঁটি বা পায়চারি।
খ) টিভি দেখা বা ফোনে কথা বলার সময় পা মুড়ে বসা।
গ) দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। এ জন্য উঁচু টেবিল ব্যবহার করা যায়।
ঘ) সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার সময় বা কনফারেন্স হলে বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি করা যায়।
পরিশেষে: এক জায়গায় বসে কাজ হলে ব্যায়াম করতেই হবে, যতই ব্যস্ততা থাক। মাথায় রাখতে হবে ওয়ার্কআউটের কোনও বিকল্প নেই। এতে ক্যালোরি বার্ন হবে, ওজন কমবে। পেশি টোনড থাকবে।