অতিরিক্ত পরিমাণে সিঁদুর লাগানো:
আসলে সিঁদুর অতিরিক্ত পরিমাণে পরলে কিন্তু মুশকিল। তা সিঁথি থেকে ঝরতে থাকে এবং কপালে ও নাক-মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পুরো নাক-মুখটাই সিঁদুরে লাল হয়ে উঠতে পারে। তাই সিঁদুর পরার সময় অল্প পরিমাণে নিয়ে সিঁথিতে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: দুধের সঙ্গে হেঁসেলের এই উপাদানগুলি মেশালেই ম্যাজিক! শীতে রুক্ষ ত্বক হবে তুলতুলে
advertisement
ঠিক মতো সিঁথি না-করতে পারা:
সঠিক ভাবে সিঁথি না-করলে সিঁদুর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সিঁথি ঠিক মতো না-হলে সিঁদুর কপালে আর মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ঠিকঠাক ভাবে সিঁথি করে অল্প পরিমাণে সিঁদুর পরে নিতে হবে।\
আরও পড়ুন: মুখে কালো ছোপ পড়ে যাচ্ছে? দাগমুক্ত ত্বক পেতে আজ থেকেই ত্যাগ করুন এই ৩ অভ্যাস
কপালে সিঁদুর লাগানো:
আজকাল মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর না-পরে কপালে সিঁদুর লাগিয়ে নেন। আসলে কপালে পরতে চাইলে লিক্যুইড সিঁদুরই পরা উচিত। কারণ এটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে না। বরং কপালে গুঁড়ো সিঁদুর লাগালে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং দেখতেও খারাপ লাগবে।
সিঁদুরের গুণমান:
সিঁদুর পরার ক্ষেত্রে সিঁদুরের গুণমানের উপরেও জোর দেওয়া দরকার। কারণ অনেক সময় বাজারে প্রাপ্ত সিঁদুরের মধ্যে রঙ মেশানো থাকে, যা ত্বক এবং চুল উভয়ের জন্যই সমান ভাবে ক্ষতিকর। আসলে এই ধরনের ভেজাল সিঁদুর ব্যবহার করলে এর মধ্যে থাকা রঙ কপালে এবং মাথার ত্বকে থেকে যেতে পারে। ফলে বুঝে-শুনে সিঁদুর বাছতে হবে।
সিঁদুর লাগানোর পরে চুলে চিরুনি চালানো:
সাধারণত সিঁদুর লাগানোর আগেই চুল আঁচড়ে নিতে হবে। কারণ সিঁদুর পরার পরে চিরুনি ব্যবহার করলে সিঁদুর ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর চুলের সামনের দিকে পাফ করে চুল সেট করতে চাইলে লিক্যুইড সিঁদুরই ব্যবহার করা উচিত। কারণ পাফ করলে তো আর সিঁথি বার করা সম্ভব নয়। ফলে কপালে গুঁড়ো সিঁদুর লাগালে তা ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই এ-ক্ষেত্রে লিক্যুইড সিঁদুর বেছে নেওয়াই শ্রেয়।